ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অভিযোগ বক্স সচল করার নির্দেশ শিক্ষা বিভাগে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
অভিযোগ বক্স সচল করার নির্দেশ শিক্ষা বিভাগে

ঢাকা: সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং তার অধীন সব দপ্তর সংস্থায় অভিযোগ বক্সগুলো সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক।  

তিনি বলেন, এই অভিযোগ বক্সের চাবি থাকবে অফিস প্রধানের কাছে।

তিনিই খুলবেন। মাসে একবার খোলা হবে এই অভিযোগ বক্স। খোলার পরে কোনো কিছু না পড়েই প্রত্যেক অভিযোগ আগে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং প্রত্যেক মাসে অভিযোগের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হবে।  

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক প্রদত্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দুর্নীতির প্রতিবেদন এবং তা প্রতিরোধে করণীয় সংক্রান্ত সুপারিশমালার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।  

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং অধীনস্ত বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানরা।

আবু বকর সবার উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষা সব কিছুর ওপরে। আমরা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যদি আলোকিত না হই তাহলে অন্যরা কীভাবে আলোকিত হবে। আমাদের উদাহরণ স্থাপন করতে হবে। আমাদের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।  

তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রদত্ত প্রতিবেদনের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।  

তিনি বলেন, বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক এবং প্রশাসনিক অনিয়মও দুর্নীতির তথ্য উদঘাটনের দায়িত্ব পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের। মূলত এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির পঙ্কিলে নিমজ্জিত হওয়ার অভিযোগ করেছে দুদক। তিনি গত ১০ বছরে দুর্নীতি অনুসন্ধানে এই প্রতিষ্ঠান কার্যকর কি পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।  

এছাড়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা বেনামে ঠিকাদারির সঙ্গে জড়িত কিনা তার তথ্য জানতে চেয়েছেন সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক। এছাড়া পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের টেন্ডার প্রক্রিয়া, পাঠ্য বইয়ের পান্ডুলিপি কতিপয় প্রকাশকের কাছে অননুমোদিতভাবে সরবরাহসহ অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।