ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গবেষণায় সাফল্য: ছোট বিশ্ববিদ্যালয়, বড় কীর্তি

তানভীর পিয়াল  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৫ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
গবেষণায় সাফল্য: ছোট বিশ্ববিদ্যালয়, বড় কীর্তি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি

চট্টগ্রাম: বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ নতুন জ্ঞান সৃজন। গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মৌলিক জ্ঞান ও তত্ত্বের বিকাশ ঘটাবে এমনটাই থাকে প্রত্যাশা।

তবে সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতার কারণে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষত বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো এ অঙ্গনে আশানুরূপ সাফল্য দেখাতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখাচ্ছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)।

স্কুপাস জার্নাল ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে, গত দু’বছরে করোনাকালীন কঠিন সময়েও ইডিইউর শিক্ষকরা বিশ্বের সেরা সব জার্নালে মোট ৪৪টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ২৩টি Q1/Q2 র‌্যাংকিংয়ের জার্নালে প্রকাশিত। শিক্ষক সংখ্যার হিসেবে তুলনামূলক ছোট বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এ কীর্তি ছোট নয় মোটেই।

জার্নালের ইম্প্যাক্ট র‌্যাংকিংয়ের ওপর ভিত্তি করে গবেষণাপত্রের মান নির্ণিত হয়। র‌্যাংকিংভুক্ত নয় এমন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা সচরাচর কম হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ডাটাবেজধর্মী প্রতিষ্ঠান স্কুপাস জার্নাল ইনডেক্স বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত পিয়ার-রিভিউড জার্নালগুলোর ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর নির্ণয়ের মাধ্যমে এগুলোকে র‌্যাংকিং করে থাকে। কিউ ওয়ান (Q1) হলো সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন জার্নাল, এর পর ক্রমান্বয়ে কিউ টু (Q2), কিউ থ্রি (Q3) ও কিউ ফোর (Q4) ক্যাটাগরির জার্নাল রয়েছে। বিশ্বব্যাপী গবেষণাপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে এসব চার র‌্যাংকিংয়ের জার্নালকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।  

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, চট্টগ্রামের উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে গবেষণানির্ভর শিক্ষার সুযোগ আগ্রহী শিক্ষার্থীর তুলনায় খুবই কম। এ অভাব পূরণে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বদ্ধপরিকর। মৌলিক গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করতে অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানা রকম সুযোগ-সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। ফলে মৌলিক ও গুণগত মানসম্পন্ন গবেষণার দিক থেকে শীর্ষস্থানে উঠে আসছে ইডিইউ।

স্কুপাস র‌্যাংকিংয়ে স্থান করে নেওয়া গবেষকদের মধ্যে রয়েছেন ইডিইউর স্কুল অব বিজনেসের প্রফেসর ড. মু. রকিবুল কবির, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. রাশেদ আল করিম ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হাসান শাকিল। তারা প্রকাশ করেছেন ২২টি প্রবন্ধ যার মধ্যে ১০টিই Q1 ক্যাটাগরির।

স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে রয়েছেন- প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দীন, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মু. ইসতিয়াক আজিজ জাহেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর লিংকন চৌধুরী ও সোহরাব হোসেন এবং লেকচারার শাহ মুহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম। তাদের প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যাও ২২, তন্মধ্যে ১৩টি Q1 ক্যাটাগরির জার্নালে প্রকাশ পেয়েছে।

উল্লেখিত গবেষকদের পাশাপাশি অন্যান্য ফ্যাকাল্টি মেম্বাররাও নিরলস গবেষণায় নিয়োজিত আছেন, একইসাথে গড়ে তুলছেন নবীন গবেষকদেরও।

উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, গবেষণাই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ। এক্ষেত্রে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি সঠিক পথেই আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির আন্তরিক সহযোগিতায় ইডিইউ গুণগত মানসম্পন্ন গবেষণার জন্য পরিপূর্ণতা অর্জন করেছে।

লেখক: জনসংযোগ কর্মকর্তা, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি।

বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।