ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গবেষণালব্ধ ফল অ্যানালাইসিস করে ব্যবহার করতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
গবেষণালব্ধ ফল অ্যানালাইসিস করে ব্যবহার করতে হবে

খুলনা: পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কাউন্সিল এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের যৌথ আয়োজনে মিক্সড মেথডস্ রিসার্চ অ্যান্ড ডিসিশন মেকিং উইথ আর্কজিস ফর স্পেশাল ডাটা অ্যানালাইসিস অ্যান্ড আর অ্যান্ড অ্যানভিভো ফর নন-স্পেশাল ডাটা অ্যানালাইসিস (Mixed Methods Research and Decision Making with 'ArcGIS' for Spatial Data Analysis and 'R' and 'NVivo' for Non-spatial Data Analysis) শীর্ষক ৮ সপ্তাহব্যাপী অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী জুম অ্যাপের অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার(১২ জুন) বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জুম অ্যাপে যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কাউন্সিলের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ হচ্ছে এক ধরনের বিনিয়োগ। কেন না গবেষকদের তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল দেশের কাজে ব্যবহার করার দায়বদ্ধতা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা এখন গবেষণা ক্রাইসিস এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের আরও ভালো করা দরকার। গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা কেন পিছিয়ে আছি তা বের করা দরকার।

সচিব বলেন, গবেষণালব্ধ ফলকে ব্যবহার করে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শিক্ষক-গবেষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। গবেষক এবং আমলারা মিলে মেলবন্ধন তৈরি করে বর্তমান সরকার কিংবা পরবর্তী সরকারকে আমরা পরামর্শ দিতে পারি। এক্ষেত্রে গবেষকদের গবেষণাকার্য চালিয়ে নিতে যতটুকু সহায়তা দরকার তা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আর এই গবেষণালব্ধ ফল সরকারের উচ্চ মহলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পাঠানো হবে।

সভাপতির বক্তব্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল আমরা কীভাবে ব্যবহার করবো, অ্যানালাইসিস করবো, কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করবো- এটা জানা প্রয়োজন। কারণ, গবেষণালব্ধ ফলাফল যথাযথভাবে অ্যানালাইসিস করে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। অ্যানালাইসিস সংক্রান্ত সফটওয়্যারগুলো আমাদের সময় বাঁচিয়েছে, এক্ষেত্রে আমরা সহজেই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ডাটা অ্যানালাইসিস করতে পারি। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তার সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক এগিয়ে। বিশেষ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় ব্যাপক জোর দিচ্ছে।

গবেষণার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষকরা বরাদ্দ পাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। গবেষণার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, একটি দেশের উন্নয়নে শিক্ষক, গবেষক, আমলা ও রাজনীতিবিদদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। যদি এসব মহলের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়, তখন কাজ আরও জোরদার করা।  

বিশেষ এই আয়োজনে বক্তব্য রাখেন উপ-সচিব কামরুজ্জামান ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. আশিক উর রহমান। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন তৌফিক আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউআরপি ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদ উজ জামান।

০৩ মার্চ শুরু হওয়া ৮ সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ১১১ জন গবেষক অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ৫ জন বিদেশি গবেষক ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চু্যয়ালি প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২২
এমআরএম/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।