ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: দেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের দ্বারা দেশের বড় একটি অর্থের বহির্গমন রোধে দক্ষতা সম্পন্ন জনশক্তি সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকেলে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট মিলনায়তনে বাজেট অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাজেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
ঢাবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে দক্ষ জনশক্তি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। বিশাল জনসংখ্যার এই দেশে এখনো বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। এইসব সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি নাগরিক কর্মরত আছেন। ফলে কষ্টে অর্জিত আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার একটা বিরাট অংশ এদেশ থেকে চলে যাচ্ছে। এই অর্থের বহির্গমন ঠেকাতে হলে প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি সৃষ্টি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শতাব্দী প্রাচীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অবদান রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান ও বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ মান প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকাণ্ড পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হচ্ছে এই প্রতিশ্রুতির আলোকে। কাজেই বাজেট প্রণয়নের উদ্দেশ্য হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতি ও উদ্দেশ্যকে বাস্তবে রূপদান করা। তাই বাজেটকে একটি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখা হয়। বাজেট শুধু কতিপয় আর্থিক প্রস্তাব সংখ্যাত্মক বিবৃতির সমষ্টি নয়। এটি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সম্পদ বণ্টনের একটি যুক্তিনির্ভর বাস্তব পরিকল্পনা, যেখানে আর্থিক ব্যবস্থাপনার মৌলিক দিকদর্শন ও অগ্রাধিকার প্রতিফলিত হয়।
অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন বলেন, একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন অর্থের। সেই অর্থ কোথা থেকে পাওয়া যাবে এবং কীভাবে তার সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবহার হবে, বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করা হয়। অর্থের অভাবে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হোক, তা কখনও কাম্য নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রয়োজনে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে নিয়োজিত। সেজন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা, গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (বিমক)-এর মাধ্যমে সরকার যে অর্থ দেয় তা অপর্যাপ্ত। ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটাতে নিয়মিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ফান্ড আসে না। অ্যালামনাইদের কাছে থেকে েআমরা এ খাতে পর্যাপ্ত ফান্ড প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এসকেবি/আরআইএস