ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম শিক্ষাক্রম চালুর উদ্যোগ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম শিক্ষাক্রম চালুর উদ্যোগ’ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পুঁথিগত জ্ঞান নয়, সরকার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম শিক্ষাক্রম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থায় কেরানি পয়দা হয় বলে কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। বর্তমান সরকার নতুন শিক্ষাক্রমের মধ্যে দিয়ে সেটার বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে।  

স্বাধীন দেশের স্বাধীন মনের হবে শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞানমনস্ক, প্রায়োগিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। পুঁথিগত জ্ঞান নয়, দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার্জনের মধ্যে দিয়ে সুনাগরিক ও বিশ্বনাগরিক হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।  

সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি, বক্তব্য দেওয়ার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেকে উপস্থাপন করছে। এর জন্যে আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন, এরফলে যে দক্ষতা অর্জন করছে সেটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।  

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে বিজ্ঞাননির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করা হবে।

‘পড়ালেখা করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে’ প্রবাদের সমালোচনা করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, শুধু ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে সমাজ পরিচালিত হয় না। সমাজে নার্সের প্রয়োজন, অন্যান্য পেশার প্রয়োজন আছে। কোনো পেশাকে ছোট করে দেখা যাবে না।

প্রায়োগিক শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘মুরগির উৎপাদন ফ্রিজে হয়’ এরকম শিক্ষা যেন নতুন প্রজন্ম না পেয়ে কৃষি ও প্রকৃতির সঙ্গে, জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।  

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, তোতাপাখির মতো ইতিহাস শেখানো হতো। পাঠ্যবইয়ে লেখা ছিল হানাদার বাহিনী কিন্তু এটা যে পাকিস্তানি বাহিনী এটা উল্লেখ করতো না পাকিস্তানপন্থীরা।  

স্বাধীন বাংলাদেশের কথা সবসময় এখনও লেখা হয় না উল্লেখ করে অধ্যাপক নেহাল বলেন, আমাদের মধ্যে এখন ভূত রয়ে গেছে। এ ভূত তাড়াতে হবে।  

লাখো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতাবৃদ্ধির মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব কামাল হোসেন বলেন, পাঠ্যবইয়ের বাইরে যেন প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের সময় দেওয়া হয়। তাদের মাঝে এসব সহশিক্ষামূলক বই ছড়িয়ে দিতে হবে, যেন নতুন নতুন বিষয়ে জানতে পারে।

২১৩ জন জাতীয় পর্যায়ে সেরা শিক্ষার্থী পুরস্কার অর্জন করেন। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন জাতীয় পর্যায়ে সেরা হওয়া যশোর দাউদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী শেখ সামিহা ইমরানা দিশা ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে বক্তৃতা দেন জাতীয় পর্যায়ে সেরা হওয়া পিনাক মুগ্ধ দাস।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
এনবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।