জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ।
রোববার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক খালিদ কুদ্দুসের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয় ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক এ এ মামুন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।
অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘নতুন আরেক বাংলাদেশের জন্ম হলো পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। বাংলার গরিব, দুঃখি ও মেহনতী মানুষের জন্য এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী এ পদ্মা সেতুর কাজ সমাপ্ত করার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন কোনো কাজ অসম্ভব না। তিনি অবিশ্বাস্য এক ইতিহাস তৈরি করে দিয়েছেন। ’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল পদ্মা ও যমুনা সেতুর। সেই স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়ন করেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। নানা বাঁধার পরেও বঙ্গবন্ধু কন্যা তার দৃঢ়চেতা মনোভবের কারণে এই কাজ সফল হয়েছে। আমরা যেমন বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের জন্ম হতো না ঠিক তেমন আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুকন্যা না থাকলে এই পদ্মা সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না। আমরা যেমন ১৬ ডিসেম্বর একটি বিজয় দেখেছি ঠিক অনুরূপভাবে আমরা ২৫ জুন আরেকটি বিজয় দেখেছি। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে কয়েক ধাপ সামনের দিকে এগিয়ে গেলো, এ অগ্রযাত্রা সবসময় চলমান থাকবে বলে আশা রাখি। ’
শোভাযাত্রায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আলমগীর কবীর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফী, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ইসরাফিল আহমেদ রঙ্গন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক নিলাঞ্জন কুমার সাহা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
এএটি