ঢাকা: ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) স্থায়ী ক্যাম্পাস। ২০১৯ সালেই এ ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
দেশবরেণ্য শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখছে ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য কতটুকু যোগ্য এবং দক্ষ হবে তা নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিক যত্নের ওপর। যোগ্য শিক্ষকরাই কেবল যোগ্য মানুষ গড়ে দিতে পারেন। ইউল্যাবে দেশের এবং দেশের বাইরের খ্যাতিমান প্রথিতযশা অভিজ্ঞ অধ্যাপক ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে আলোর মশাল তুলে দিতে বিরামহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ক্লাসরুমের বাইরেও নানা বিষয়ে তারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে ভূমিকা রাখেন। একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, স্বনামধন্য গবেষক ও কলামলেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ইউজিসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও লেখক অধ্যাপক আবদুল মান্নান, স্বনামধন্য কবি ও অনুবাদক অধ্যাপক কায়সার হক, বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও জনসংখ্যাবিদ মোহাম্মদ ওমর এজাজ রহমান, কথা সাহিত্যিক ড. কাজী আনিস আহমেদ, খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ইমরান রহমান, শিক্ষাবিদ, অনুবাদক ও কলাম লেখক অধ্যাপক সামসাদ মর্তূজা, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মিলন কুমার ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট প্রকৌশল শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন, প্রত্নতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান, অধ্যাপক ড. পিংকী শাহ, অধ্যাপক আখতার আহমেদ, অধ্যাপক তপতী রানী সরকার, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইবরাহিম, অধ্যাপক জুড উইলিয়াম আর হেনিলো, অধ্যাপক দ্বীন মুহাম্মদ সুমন রহমানসহ খ্যাতিমান শিক্ষকদের কাছ থেকে সরাসরি শিক্ষালাভের সুযোগ পায় ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ইউল্যাবে উপাচার্য ছিলেন। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ড, হার্ভাড, ব্রাউন, কর্নেল, কলাম্বিয়া, গ্লাসগো, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনকারী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রার্থীরা ইউল্যাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। এ কারণে ইউল্যাবের শিক্ষকদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের এক চমৎকার মেলবন্ধন রয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষকেরই একাধিক স্বনামধন্য বিদেশি বিশ্ববিদ্যলয়ের ডিগ্রি রয়েছে। ইউল্যাবের বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষকদের অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর স্নাতক, যারা পরে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে ইউল্যাবে যোগদান করেছেন। ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের শিক্ষকদের পঞ্চাশ শতাংশই পিএইচডি ডিগ্রিধারী, বাকিদের কমপক্ষে বহির্বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় মাস্টার্স রয়েছে। সিএসই এবং ইইই বিভাগের ৭০ শতাংশ শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে বাকিদের রয়েছে বিশ্বের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি। স্বনামধন্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শিক্ষালাভ করে মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজ (এমএসজে) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকমণ্ডলীর আন্তরিক পরিচর্যায় শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় ভালো করছে এবং একইসঙ্গে সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল ও দক্ষ মানুষ হয়ে গড়ে উঠছে ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা।
ইউল্যাবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর। শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রের জন্য সুনাগরিক এবং সমাজের জন্য দায়বদ্ধ মানুষ করে গড়ে তুলতে লিবারেল আর্টস শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষা-কারিকুলাম আর সময়োযোগী ও কর্মমুখী বিষয়সমূহ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ইউল্যাবের নীতিমালায় রয়েছে-সমালোচনামূলক চিন্তা-ভাবনা, যোগাযোগ, জীবনব্যাপী শিক্ষাগ্রহণ, নেতৃত্ব ও টেকসই উন্নয়ন। ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রেসিডেন্ট কাজী শাহেদ আহমেদ যেমন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী, তেমনি একজন শিক্ষানুরাগীও। তিনি যাদের নিয়ে ইউল্যাবের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেছেন তারা হার্ভার্ড, ওয়েসলিয়ান, ব্রাউন, কলাম্বিয়া, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স (এলএসই), কর্নেল ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। বহির্বিশ্বের নামকরা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম পর্যবেক্ষণ করে তারা দেশেই বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষে গড়ে তুলছেন এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
আধুনিক ও বিশ্বমানের কর্মমুখী শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা তৈরিতে লিবারেল আর্টস শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ইউল্যাব বিভিন্ন স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি পেয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ওয়ার্ল্ডস ইউনিভার্সিটিজ উইথ রিয়েল ইমপ্যাক্ট (WURI) র্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছে ইউল্যাব। এর আগে টাইমস হায়ার অ্যাডুকেশন (THE) ইমপ্যাক্ট র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউল্যাব চতুর্থ স্থান অর্জন করে।
গত বছর যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) সোশ্যাল সায়েন্স সিলভার অ্যাওয়ার্ড ২০২১ জিতেছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)। ওয়ারটন-কিউএস রিইমেজিন অ্যাডুকেশন অ্যাওয়ার্ড বিশ্বে 'শিক্ষায় অস্কার' হিসেবে পরিচিত।
১০টি সমৃদ্ধ গবেষণাকেন্দ্র ইউল্যাবকে অনন্য স্বাতন্ত্র্যতা দিয়েছে
গবেষণা খাতে ব্যয় বিবেচনায় বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউল্যাবের অবস্থান বরাবরই ওপরে। গবেষণাখাতে ইউল্যাবের বাৎসরিক ব্যয় প্রায় নয় কোটি টাকা। ইউজিসি রিপোর্ট ২০১৯ সূত্রে ইউল্যাব গবেষণায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ছিল দ্বিতীয়। ভিতরগড় দুর্গনগরীতে ইউল্যাবের নিজস্ব আর্কিউলজিক্যাল ফিল্ড গবেষণা রয়েছে। সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্টাডিজ (সিএএস) এ ফিল্ডের দায়িত্বে রয়েছে। এটি ছাড়াও সেন্টার ফর বাংলা স্টাডিজ (সিবিএস), সেন্টার ফর এন্টাপ্রাইজ অ্যান্ড সোসাইটি (সিইএস), সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (সিএসডি), সেন্টার ফর অ্যাডভান্স থিওরি (সিএটি), সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন টিচিং অ্যান্ড লার্নিং (সিইটিএল), তথ্য যাচাই বিষয়ক উদ্যোগ ফ্যাক্ট ওয়াচসহ ১০টি সমৃদ্ধ গবেষণাকেন্দ্র ইউল্যাবকে অনন্য স্বাতন্ত্র্যতা দিয়েছে। এ গবেষণাকেন্দ্রের গবেষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা সরাসরি গবেষণায় সম্পৃক্ত থেকে গবেষণার সুযোগ পায়।
ক্লাব কার্যক্রম ও ছাত্রসেবা
সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতা ও নেতৃত্বদানের যোগ্যতা বাড়াতে সহায়তা করে। সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউল্যাবে কো-কারিকুলার অফিসের অধীন ২৩টি সক্রিয় ক্লাব রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাব কার্যক্রম সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করেন, যা তাদের ব্যক্তি ও কর্মজীবনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পেশাজীবনে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে থাকে ইউল্যাব ক্যারিয়ার সেন্টার অফিস। প্রফেশনাল ট্রেনিংসহ ক্যারিয়ার সহায়ক বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে এ অফিসটি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ইউল্যাব অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’ শিক্ষার্থীদের পেশাগত পথ খুঁজে পেতে দারুন সহযোগিতা করে থাকে। শিক্ষার্থীদের পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যায় পরামর্শ দেওয়ার জন্য রয়েছে ইউল্যাব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিস। বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় পরামর্শের জন্য রয়েছে সাইকো-সোশ্যাল কাউন্সিলর। ছাত্র-ছাত্রীদের আইনি পরামর্শের জন্য আছে আইন পরামর্শক। ছাত্র-ছাত্রীরা তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে ইউল্যাবের স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ সেন্টারের সহযোগিতা নিতে পারে।
শিক্ষাবৃত্তি ও ক্রেডিট ট্রান্সফার সুবিধা
ইউল্যাব প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের প্রায় ১৫ কোটি টাকা শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে উপাচার্য বৃত্তি ও ডিন বৃত্তি উল্লেখযোগ্য। ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতি সেমিস্টারের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেও বিভিন্ন প্রকার শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে থাকে। এছাড়া ইউল্যাবে ভর্তির ক্ষেত্রেও এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীরা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে থাকে।
দেশ-বিদেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইউল্যাবের সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রেও স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক, কিলি ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য, ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি, আয়ারল্যান্ড, ওয়াশাব্যান ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোসস্টাশায়ার, এজামশন ইউনিভার্সিটি অব থাইল্যান্ড, চীনের ইউনান ওপেন ইউনিভার্সিটি, থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ইউনিভার্সিটি, পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া, ফেসবুক ইন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউনিভার্সিটি অব কলম্বো, ইউনিভার্সিটি অব গাজীআঁটেপ, তুরস্ক, প্যান প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটি ফিলিপাইন, ফিলিপাইন নরমাল ইউনিভার্সিটি, ইউানিভার্সিটি অব ব্রাইটন অ্যান্ড সাসেক্স মিডল স্কুল, হাইডেলবার্গ ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেল্থ নেপালের মিড ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, দ্য ডিউক অব এডিনবার্গস অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফরেন সার্ভিস একাডেমি (এফএসএ), সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), আমেরিকান দূতাবাসের ইএমকে সেন্টার, স্কলারট্রুপ লিমিটেড, গ্রামীণফোন, ক্যাসপার ফাউন্ডেশন, স্টার্ট আপ ঢাকা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি), ক্যাটালিস্ট, ইনক্লোসিভ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট এন্টারপ্রাইসেস, বিআইএসি ইত্যাদি। ছাত্র-ছাত্রীরা উন্নত দেশগুলোতে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে অথবা স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারেন। এছাড়া ছাত্র-শিক্ষকদের প্রশিক্ষণেও উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইউল্যাব একটি ক্রিড়াবান্ধব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইউল্যাবের খেলার মাঠটি জাতীয় মানের একটি মাঠ। প্রতিবছর এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট নিয়ে ‘ইউল্যাব ফেয়ার প্লে কাপ’ আয়োজন করে থেকে যাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে থাকে। এছাড়া বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন ছাড়াও এখানে ইনডোর এবং আউটডোরে প্রায় সব ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা রয়েছে।
স্টেট-অব-আর্টস ল্যাব ফ্যাসিলিটি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশিত ক্লাসরুম-লাইব্রেরি
ইউল্যাবের ক্লাসরুমগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ করা হয়েছে। ডিজিটাল বোর্ড, প্রজেক্টরসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সংযুক্ত আছে ক্লাসরুমগুলোতে। এ বিশ্ববিদ্যলয়ের পুরো ক্যাম্পাস ডিজিটালাইজড। ইউল্যাবের লাইব্রেরিটি সম্পূর্ণ ওয়েব নির্ভর ও অটোমেশন প্রযুক্তিসম্পন্ন। লাইব্রেরিতে দেশি-বিদেশি প্রয়োজনীয় সব পুস্তকসহ জার্নাল, ম্যাগাজিন, গবেষণাপত্র ও প্রয়োজনীয় অডিও ও ভিজ্যুয়াল তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। লাইব্রেরিটিতে পড়াশোনার জন্য ভিন্ন ভিন্ন জোন রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনেও লাইব্রেরি থেকে পড়াশোনা করতে পারে।
ইউল্যাবের ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই, সিএসই) বিভাগসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ল্যাব। এসব ল্যাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় রয়েছে, রয়েছে আধুনিক মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি। হাইটেক পার্কের তত্ত্বাবধানে আইওটি ল্যাব নতুন ধারার পণ্য তৈরিতে নিয়োজিত রয়েছে। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে এ ল্যাবগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইউল্যাবের জার্নালিজমের শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শিক্ষাদানের জন্য রয়েছে ইউল্যাব টিভি স্টেশন, রেডিও স্টেশন এবং নিজস্ব পত্রিকা। এসব গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীরাই নির্মাতা, শিক্ষার্থীরাই সঞ্চালক এবং শিক্ষার্থীরাই প্রতিবেদক। আর তাদের পথ দেখাচ্ছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান শিক্ষকমণ্ডলী এবং দক্ষ মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা। শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠান নির্মাণ করছে, পত্রিকা প্রকাশ করছে। কাজেই চার বছরের শিক্ষাগ্রহণ শেষে বাস্তব কর্মজীবনে গিয়ে নতুন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে না ইউল্যাবের শিক্ষার্থীদের।
যেসব বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের স্নাতক কোর্সগুলো হলো- ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), বিএসএস ইন মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম (এমএসজে), বিএ ইন ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ (ডিইএএইচ), বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ও ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই)।
স্নাতকোত্তর কোর্সগুলো হলো- এমবিএ, ইএমবিএ, মাস্টার্স ইন কমিউনিকেশন, এমএ ইন ইংলিশ। ইউল্যাবের সিএসই প্রোগ্রামে আইইবি (ওঊই) এবং মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম প্রোগ্রামে গ্লোবাল এলায়েন্স এক্রিডিটেশন রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলোর কারিকুলাম আউটকাম বেজড অ্যাডুকেশন (OBE) অনুসরণে প্রণীত।
ভর্তি তথ্য
ইউল্যাব ছাত্রভর্তির ক্ষেত্রে ইউজিসির ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে। ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। ভর্তির জন্য অনলাইনে বা সরাসরি অ্যাডমিশন অফিসে এসে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। অনলাইনে ভর্তি হতে https://oam.ulab.edu.bd/ এ লিঙ্কে যেতে হবে। ভর্তি তথ্যের জন্য সরাসরি কথা বলা যাবে ০১৭১৪১৬১৬১৩, ০১৭৩০০৮২১৯৭, ০১৭১৩০৯১৯৩৬ এ নম্বরসমূহে। ইউল্যাবের অন্যান্য তথ্য ও বৃত্তি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন https://admissions.ulab.edu.bd/। এ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.ulab.edu.bd।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২২
আরবি