ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইউক্যালিপটাস গাছের কারণে ঝুঁকিতে অপরাজেয় বাংলা

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
ইউক্যালিপটাস গাছের কারণে ঝুঁকিতে অপরাজেয় বাংলা অপরাজেয় বাংলার কাছেই ইউক্যালিপটাস গাছটি। ছবি: সাজ্জাদুল কবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) প্রতিনিধিত্বকারী স্থাপনার মধ্যে অন্যতম হল অপরাজেয় বাংলা। এর পাশেই রয়েছে দীর্ঘকায় একটি ইউক্যালিপটাস গাছ।

সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ভাস্কর্যের লাগোয়া রয়েছে বেষ্টনী। শিকড় বড় হওয়ায় তা ফেটে গিয়ে এখন পুরো ভাস্কর্যটি ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (৭ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, মূল ভাস্কর্য থেকে প্রায় তিন ফুট দূরত্বে থাকা গাছটির চারপাশের বেষ্টনী ভেঙে গেছে। শিকড় বড় হওয়ায় ফ্লোরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ওঠেছে।  

বিষয়টি নিয়ে ভাস্কর্য বিভাগের অনারারি অধ্যাপক মো. হামিদুজ্জামান খান বাংলানিউজকে বলেন, যে কোনো স্থাপনার পাশেই বড় গাছ থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ গাছের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আরবারি কালচার সেন্টার। সেন্টারের পরামর্শ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে অপসারণ করে।  

দীর্ঘকায় ইউক্যিালিপটাস গাছের কারণে অপরাজেয় বাংলার ক্ষতি হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বাংলানিউজকে বলেন, স্থাপনার পাশে বড় গাছ সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে গাছের বয়স যখন বাড়ে তখন মানুষের মতো তার কর্মক্ষমতাও কমে যায়। তখন সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। ভাস্কর্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা ভালো বলতে পারবেন। আমি ইউক্যালিপটাস গাছটাকে নিয়ে বলি। এই গাছের ভালোও আছে খারাপও আছে। খারাপ দিক হলো এটা মাটি থেকে তাড়াতাড়ি বড় হয়। এর ফলে তাকে তাড়াতাড়ি খাবার তৈরি করতে হয়। এ কারণে গাছটার নিচ থেকে প্রচুর পানি নিতে হয়। পানি এমনি এমনি ওঠে না। পানি পাতা দিয়ে রস আকারে ওঠে। কারণ মাটিতে পানি আছে বেশি, গাছে কম আছে। ফলে বেশি জায়গা থেকে কম জায়গায় পানি ওঠে। এ কারণে মরুকরণ হয়। আশেপাশের অন্য গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  

ঢাবির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমরানুল হক বাংলানিউজকে বলেন, অপরাজেয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতীক। আমরা চাই আমাদের স্থাপনা কোনো ধরনের ঝুঁকিতে না পড়ুক। একইসঙ্গে স্থাপনাটি আরও বেশি পরিষ্কার করে রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের বিষয়ে আরবারি সেন্টারের মতামত নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এটার ক্ষেত্রেও সেন্টারের মতামত জানতে চাওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২২
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।