ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন

ঢাকা: বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন করেছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বোর্ড পুনর্গঠন করে আদেশ জারি করেছে।

আদেশের দিন থেকেই তা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

উদ্যোক্তা ট্রাস্টিরা হলেন- টি কে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ এ কালাম, কনকর্ড ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড কনস্ট্রাকশন লি. এর চেয়ারম্যানও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম কামাল উদ্দিন, আবুল খায়ের গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল কাশেম, মিনহাজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ইয়াসমিন কামাল, বেক্সিমকো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান (আহমেদ সোহেল ফসিউর রহমান), ইউনাইটেড ফসফরার (বাংলাদেশ) লি. এর চেয়ারম্যান ফৌজিয়া নাজ।

উদ্যোক্তা ট্রাস্টির উত্তরাধিকারীগণদের মধ্যে রয়েছেন- বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট ড. জুনাইদ কামাল আহমাদ, ইনকনট্রেন্ড লি. এর ভাইস-চেয়ারম্যান তানভীর হারুন, উদ্যোক্তা জাভেদ মুনির আহমেদ, ফাইজা জামিল ও শীমা আহমেদ।

শিক্ষাবিদ হিসেবে রয়েছেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আতিকুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী দায়িত্বরত উপাচার্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।

এতে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কতিপয় সদস্য ও অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, জঙ্গিবোদের পৃষ্ঠপোষকতা, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িত মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তদন্তে প্রমাণিত হয় যা বিদ্যমান আইনের ধারা ৬(১০) এবং দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি ক্রয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চার সদস্য জমি ক্রয়ে আর্থিক দুর্নীতি করায় দুদকের মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে বর্তমানে কারান্তরীণ রয়েছেন। তাছাড়া ট্রেজার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি নথিতে জালিয়াতির ঘটনায় একজন ট্রাস্টির বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশীট দেওয়া হয়েছে।

‘এমতাবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বোর্ড অব ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্ত থাকা সমীচীন নয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বোর্ড অব ট্রাস্টি পূর্ণাঙ্গভাবে পরিচালনা করতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয়েল স্বাভাবিক শিক্ষা ও পরিচালনা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ’

এতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩৫(৭) অনুযায়ী ‘কোন কারণে কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েল অচলাবস্থা দেখা দিলে কিংবা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত ও শিক্ষার্দেথীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে চ্যান্সেলর, কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশক্রমে প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ দিতে পারবেন এবং এ বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে’ মর্মে বিধান রয়েছে।

‘উল্লিখিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং সরকারের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সম্মিলিত সভার সুপারিশ বিবেচনায় চ্যান্সেলর কর্তৃক অনুমোদনের প্রেক্ষিতে উদ্যোক্ত ট্রাস্টি ও উদ্যোক্তা ট্রাস্টির উত্তরাধিকারীগণের সমন্বয়ে বোর্ড অব ট্রাস্ট পুর্নগঠন করা হলো। ’

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এমআইএচ/এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।