বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আবারও সাপের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে প্রায় ছয় হাত লম্বা একটি পদ্ম গোখরা সাপ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু হলের স্টাফদের মাধ্যমে হলের পাশে সাপের অবস্থানের বিষয়টি জানতে পারি। তাদেরও বিষয়টি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে গর্তসহ কিছু আলামত দেখতে পেয়ে সাপুরেদের খবর দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, পটুয়াখালী থেকে এক সাপুরে এসে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের কার্যালয়ের পশ্চিম পাশের একটি গর্ত করে আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় হাত লম্বা সাপটি জীবিত উদ্ধার করেন। পাশাপাশি আট থেকে ১০টির মতো সাপের ডিমও উদ্ধার করা হয়। সাপুরে জানিয়েছে ওই গর্তে সাপটি ডিমে তা দিচ্ছলো। ডিমগুলো অন্যত্র সরিয়ে ফেলে সাপুরে সাপটিকে নিয়ে চলে গেছেন। যাওয়ার সময় তিনি জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া সাপটি পদ্ম গোখরা জাতের বিষধর সাপ।
প্রভোস্ট আরিফ হোসেন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি যেখানে অবস্থিত সেই জায়গাটা নিচু জায়গা ছিল। এখানে কিছু পুরাতন, পরিত্যক্ত বাড়িও ছিল। সেসঙ্গে আশপাশে জঙ্গল ও ডোবাসহ বিভিন্ন ধরনের জলাশয় রয়েছে। তাই এ ক্যাম্পাসে প্রায়ই সাপের দেখা পান শিক্ষার্থীরা। তবে সম্প্রতি এত বড় সাপের দেখা মেলেনি।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি আমাদের ক্যাম্পাসে কার্বলিক এসিড ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খুরশিদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, সাপের উপদ্রব ক্যাম্পাসে আগে থেকেই রয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্কও রয়েছে। তবে আমরা ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখার ওপরে জোড় দিচ্ছে। সেসঙ্গে কার্বলিক এসিড ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য স্যার।
এদিকে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সাপটি আনুমানিক সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা হবে এবং প্রায় ডজনখানেকের ওপরে ডিম ছিল ওই গর্তে। যা সাপুরে উদ্ধার করেছে।
তারা জানান, সাপ আতঙ্কে সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে হাঁটা চলা করতে হয় খুব হিসেব করে। আর এখন ক্যাম্পাসে এ বিষধর সাপ দেখে সবার মধ্যেই সাপ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
এমএস/আরআইএস