ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুলবাসে নারী সহকারী চান অভিভাবকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
স্কুলবাসে নারী সহকারী চান অভিভাবকরা

ঢাকা: ঢাকা শহরে স্কুল বাস চালুর উদ্যোগকে ঢাকার অভিভাবকেরা সমর্থন জানালেও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বড় হয়ে উঠেছে। অভিভাবকেরা বলছেন, এদেশের বাসচালকদের অধিকাংশ অশিক্ষিত ও সঠিক ব্যবহার জানেন না।

সবচেয়ে বড় সমস্যা তারা নারীদের হেয় করেন।

সেজন্য ঢাকা উত্তরের মেয়রের কাছে অভিভাবকেরা দাবি করেছেন, বাসে যেন নারী সহকারী রাখা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হবেন না।  

বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২) বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকার স্কুলগুলোতে বাস সার্ভিস প্রবর্তন সংক্রান্ত প্রাথমিক কর্মকৌশল নির্ধারণ বিষয়ক সভায় অভিভাবকেরা এ দাবি তোলেন।

স্কলাসটিকা স্কুলের অভিভাবক নিরুপমা ইকবাল মেয়রের কাছে জানতে চান, এই উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে চালু থাকবে কি না? 

এ অভিভাবকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা সমীক্ষা করে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো যেন উদ্যোগ সফল হয়।

অন্য এক অভিভাবক বাসের চালক ও সহকারীদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে অতীতে অপরাধ প্রবণতা নেই এমন মানুষদের এ পদে রাখা ও বাসগুলোতে নারী সহকারী রাখার বিষয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়ে এ অভিভাবকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, সন্তানরাই বাবা মায়ের সবচেয়ে মূলবান সম্পদ। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। স্কুল বাসগুলোতে সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অ্যাপের মাধ্যমে ট্র্যাকিং ব্যবস্থা থাকবে।  

নিরাপত্তার জন্য স্কুলবাসের চালক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। একটি হটলাইন নাম্বার থাকবে যেটির মাধ্যমে অভিভাবকরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, অনেক পরিবারে বাবা-মা দুজনেই চাকরিজীবী। তাদের যেন ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া আসা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করতে হয় সেক্ষেত্রে নিরাপদ স্কুলবাসই চমৎকার সমাধান হবে। সময়, নিরাপত্তা ও খরচ সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই বাস সার্ভিসটি চালু করা হবে। আমরা মনে করি এটি একটি টেকসই সমাধান হবে।

বাস রুট নির্ধারণের বিষয়ে অভিভাকের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসার ঠিকানা অনুযায়ী বাস রুট নির্ধারণ করা হবে। রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে একটি বাসে নির্দিষ্ট রুটের স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করবে। এর ফলে খরচ অনেক কমে আসবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র জানান, শুরুতে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে চালু হলেও পর্যায়ক্রমে রাজধানীর সব স্কুলেই বাস সার্ভিস চালু করা হবে।

এটির সফল বাস্তবায়নে মাইন্ডসেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অভিভাবকদের। স্কুলবাস সার্ভিস বাধ্যতামূলক করা হলে স্কুলের ১০০ গজের মধ্যে শিক্ষার্থীদের বহন করা ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।  

চিটাগং গ্রামার স্কুল-ঢাকার প্রিন্সিপাল আছিয়া আলম চৌধুরী বলেন, আমরাও নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু নানা সমস্যায় সে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আবার পরিবহনে যদি অতিরিক্ত ভাড়া হয় তাহলে যে পরিবারে একাধিক সন্তান তাদের জন্যে এর ব্যয় বহন কষ্টসাধ্য হয়ে যায়।  

সভায় অন্যান্যের সঙ্গে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. আমিরুল ইসলাম, স্কলাস্টিকা স্কুল, মিরপুর শাখার প্রিন্সিপাল নুরুন নাহার মজুমদার, স্যার জন উইলসন স্কুলের প্রিন্সিপাল সাবরিনা শাহেদ ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটরিয়ালের প্রিন্সিপাল লুবনা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২
এনবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।