ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করে মাইগ্রেশন চান শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
কেয়ার মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ করে মাইগ্রেশন চান শিক্ষার্থীরা

ঢাকা: কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে অন্যত্র মাইগ্রেশন চান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে  তারা এমন কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী ওহিয়া ফার্জিন বলেন, কেয়ার মেডিক্যাল বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনা ও পরিচালনা নীতি-২০১১ অনুসারে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়৷ এই প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষার মান, কোনো কিছুই ঠিক নেই। পদে পদে রয়েছে অনিয়ম। ছলচাতুরির মাধ্যমে আমাদের ভর্তি করে অনিশ্চিত গন্তব্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০টি আসন বৃদ্ধিসহ মোট ৫০টি আসন নিয়ে কেয়ার মেডিক্যাল ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী তিন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করে৷ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনা ও পরিচালনা নীতি-২০১১ সংশোধনের মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নামে জমি বৃদ্ধি, কলেজের নিজস্ব নামে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানোর শর্তারোপ করা হয়। সেই শর্তপূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ পরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে রিট আবেদন করলে ভর্তি বন্ধের আদেশ স্থগিত করে উচ্চ আদালত। এরপর তারা আরও চার শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে প্রতিষ্ঠানটি।

তিনি আরও বলেন, এসব শিক্ষার্থী ঢাবি থেকে প্রথম বর্ষের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম বর্ষে অধ্যয়ন করছে। এরপর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আগে নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য ছয় মাস সময় দিয়ে এ সময়ের জন্য ভর্তি স্থগিতের আদেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্ধারিত সময়ে শর্ত পুরণে ব্যর্থ হয়ে প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতায় রিট মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। তবে অধয্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন দেয়নি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তালিকাভুক্তু করেনি। এমতাবস্থায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

তাই অধ্যয়নরত ২১৮ শিক্ষার্থী কেয়ার মেডিক্যাল কলেজের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করে তাদের অন্যত্র মাইগ্রেশনের মাধ্যমে পড়াশুনার সুযোগ চান। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্য শিক্ষার্থীর মধ্যে অয়ন, আসিফ, সিলভিয়া ও রায়হান বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন৷ এ সময় ভুক্তভোগী অন্য শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
কেআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।