সিলেট: মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (এসএসসি) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এ বছরের ১৯ জুন। কিন্তু সিলেট বিভাগে ভয়াবহ বন্যার কারণে ৮৭ দিন পর স্থগিত থাকা এসএসসি পরীক্ষা বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে।
এবার এসএসসিতে সিলেট বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় বসছেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪৮৮ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় এবার ছেলে ৪৯ হাজার ৪১৭ এবং মেয়ে ৬৬ হাজার ৯৭১ জন। এর মধ্যে ছেলেদের তুলনায় মেয়ে সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৫১ জন বেশি। আর গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে চার হাজার ৬৪৩ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বোর্ডের অধীনে ৯৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪৯ কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় এবার সকাল ১০টার পরিবর্তে ১১টায় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টার পরিবর্তে ২ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বোর্ডের অধীনে ৯৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবার এসএসসিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ২৩ হাজার ৩০৩, মানবিকে সর্বাধিক ৮৪ হাজার ২২৯ এবং ব্যবসায় বিভাগ থেকে আট হাজার ৮৯৫ পরীক্ষার্থী।
আর ৯৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিলেট জেলায় ৩৫৮, হবিগঞ্জে ১৬৭, মৌলভীবাজারে ১৮৭ এবং সুনামগঞ্জে ২১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া ১৪৯ কেন্দ্র সংখ্যার দিকে থেকে সিলেট জেলায় ৫৯টি, হবিগঞ্জে ৩১, মৌলভীবাজারে ২৬ এবং সুনামগঞ্জে ৩৩টি রয়েছে।
বোর্ডের অধীনে গত বছর বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ২১ হাজার ১৩১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ছিল ৫৩ হাজার ৯৪০ জন এবং ছাত্রী ৬৭ হাজার ১৯১ জন। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি ছিল ১৩ হাজার ২৫১ জন। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ৪৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ বছর কমে যাওয়া চার হাজার ৬৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে চার হাজার ৩৯৮ জন এবং মেয়ে ২৪৫ জন। মেয়েদের তুলনায় ছেলে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বোর্ড সূত্র আরো জানায়, এরও আগে ২০২০ সালে এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিল মোট এক লাখ ১৬ হাজার ৩৭০ জন। তন্মধ্যে ছেলে ৪৯ হাজার ৯৫৩ জন এবং মেয়ে ছিল ৬৬ হাজার ৪১৭ জন। পরের বছর (২০২১ সালে) করোনার অতিমারি কাটিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছিল চার হাজার ৭৬১ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ছিল তিন হাজার ৯৮৭ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৭৭৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
এনইউ/কেএআর