ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষকসহ একাধিক সংকট নিরসনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন 

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
শিক্ষকসহ একাধিক সংকট নিরসনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন  মানববন্ধন

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষকসহ একাধিক সংকট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত শিক্ষক, ও ল্যাব সহায়ক নিয়োগের দাবি জানান।

 শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন ও মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  

মানববন্ধনে শিক্ষক, সহকারী নিয়োগের পাশাপাশি ল্যাব সরঞ্জামাদি সংকট, চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্রের সংকট নিরসনের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনকারীরা বলেন, আমরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম। যেখানে আমাদের ব্যাচমেটরা পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সেখানে আমাদের প্ল্যাকার্ড লিখে মানববন্ধন করতে হচ্ছে। কিন্তু এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। আমরা অনতিবিলম্বে শিক্ষক ও ল্যাব সহায়ক নিয়োগ চাই। তা না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা 'হোক প্রতিবাদ জাগুক প্রশাসন, শিক্ষক নিয়োগ দ্রুত হোক, ফার্মেসির কান্না বন্ধ হোক শিক্ষক নিয়োগ দ্রুত হোক, শুধু বাহ্যিক চাকচিক্য নয় অভ্যন্তরীণ পরিপূর্ণতা চাইসহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।  

পরে মানববন্ধনে এসে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন।  

উপাচার্য বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে এটা তো চাইলেই সম্ভব না। প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হবে। আমরা সেই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা এর সমাধান করতে পারবো।

পরে তারা বিক্ষোভ শুরু করে এবং বিভাগের উভয় পাশে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে একজন শিক্ষক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হওয়া এই বিভাগে বর্তমানে ৪টি ব্যাচে শিক্ষার্থী আছে প্রায় ২০০ জন। এবং শিক্ষক আছে ২ জন। এছাড়াও ল্যাব সরঞ্জামাদি সংকট ও চেয়ার টেবিলও আসবাবপত্রের সংকটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েন তারা। ফলে শিক্ষক নিয়োগ ও এসব সমস্যা নিরসনের দাবিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এবং সাত দিনের মধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।