ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নেতৃত্ব দিতে পারতেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শহিদ শেখ রাসেলের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপাচার্য বলেন, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহিদ শেখ রাসেলের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জমায়েত হয়েছেন।
তিনি বলেন, অসাধারণ কিছু গুণের অধিকারী ছিলেন শিশু রাসেল। তিনি অত্যন্ত সৎ, স্পষ্টভাষী, বন্ধুবৎসল ও অনন্য মানবিক মূল্যবোধের অধিকারী ছিলেন। অপার সম্ভাবনাময় ও বিরল প্রতিভার অধিকারী সেদিনের ছোট্ট রাসেল বেঁচে থাকলে আজ ৫৯ বছরের পরিণত মানুষ হতেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নেতৃত্ব দিতে পারতেন। কিন্তু ঘাতকদের নির্মম বুলেট সেটি হতে দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকরা শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। শেখ রাসেল তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি এক্স-স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ইউলেসা)-এর সভাপতি নাঈম আহম্মেদ খান, শহিদ শেখ রাসেলের সহপাঠী অধ্যাপক ফওজিয়া বানু।
আলোচনা পর্ব শেষে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে শহিদ শেখ রাসেল স্মৃতি বৃত্তি এবং কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এসকেবি/এসআইএস