ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকের সামনে অটোরিকশার ধাক্কায় জান্নাতুন নাঈম অন্তু নামে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত জান্নাতুন নাঈম অন্তু ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আহতের ঘটনা শুনে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। শিক্ষার্থীরা গাছের গুড়ি, ইট বিছিয়ে রাখে এবং টায়ার জ্বালিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থেল উপস্থিত হয়ে তাদের মহাসড়ক থেকে নেমে আসার অনুরোধ জানায়। প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ করে রাখার পর শিক্ষার্থীরা সাড়ে আটটার দিকে মহাসড়ক থেকে নেমে আসে।
মহাসড়ক থেকে নেমে আসলেও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দেয়। এতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে আসা শিক্ষার্থী বহনকারী বাস প্রধান ফটকের বাহিরে আটকা পরে। প্রায় ৪০ মিনিট তালাবদ্ধ রাখার পর প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।
সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি লিখিত ভাবে আগামীকাল সকাল ১১টায় প্রক্টর অফিসে জমা দিতে বলেছি। সেখানে আহত শিক্ষার্থীর ক্ষতিপূরণও অন্যন্য দাবিগুলো উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সহপাঠীসূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার থেকে কেনাকাটা করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন অন্তু। সে সময় সামনে থেকে দ্রুতগতির একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলে পড়ে যান এবং তার শরীরের ওপর দিয়ে অটোরিকশা চলে যায়। পায়ে ও কোমরে গুরুতর আঘাত পান অন্তু। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করেন তার সহপাঠী মুস্তাকিম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম শাহেদ হাসান বলেন, ‘আমরা তৎক্ষণাৎ ব্যথানাশক ওষুধ দিয়েছি। যেহেতু মেয়েটির ওপর অটো উঠে গেছে, তাই হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছে। এছাড়া তার দুটি দাঁতও ভেঙে গেছে। আমরা এক্স-রের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কুষ্টিয়াতে পাঠিয়েছি। যদি ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে তাহলে সরাসরি ভর্তি করতে বলা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
এনএটি