ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবির ‘পোষ্য কোটা’ বাতিলের দাবি

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
রাবির ‘পোষ্য কোটা’ বাতিলের দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, (রাবি): বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পোষ্য কোটা’ বাতিলসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।

পোষ্য কোটা বাতিল করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি- ফেল করার পরও যেসব শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছে তাদের ভর্তি বাতিল; পোষ্য কোঠা বাতিল; জালিয়াতির মাধ্যমে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের ভর্তি বাতিল ও জালিয়াতির সাথে যারা জড়িত তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অযোগ্য সন্তানদের জন্যই প্রতিষ্ঠিত? সাধারণত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখা হয়। তাহলে কি আমাদের শিক্ষকরা তাদের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী মনে করেন? আবার এরাই পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা হবে। আমরা এই অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানাই।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, ফেল করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির এই অনিয়ম কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য না। যারা মিনিমাম ৪০ পেয়েও পাশ করতে পারে না, এমন অযোগ্যদের ভর্তির সুযোগ দিয়েছে প্রশাসন। অযোগ্য শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। প্রশাসন যদি এই পৈত্রিক কোটা বন্ধ না করে তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হবো।

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, রাবির সাবেক ভিসি ৪০ জন ফেল করা শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেছিল। বর্তমান ভিসি সেটাকে বৃদ্ধি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি আসে ভিসি যায় আর তাদের অপকর্মগুলো বৃদ্ধি পায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোতে রূপান্তর করে ফেলেছে। এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো অধিকার নেই। আমরা এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে হবে।

মানববন্ধনে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল্লাহ মুহিবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।