ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে গ্রামীণ অনুষঙ্গে নবান্ন উৎসব উদযাপন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
জবিতে গ্রামীণ অনুষঙ্গে নবান্ন উৎসব উদযাপন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‌‘নবান্নোৎসব ১৪২৯’ উদযাপন করা হয়েছে।  

বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের আয়োজনে গ্রামীণ অনুষঙ্গে এ উৎসব হয়।

বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরদের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বাঁশি, একতারাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ঐক্যতান দেখা যায়। এসময় গ্রামীণ পিঠাপুলির মাধ্যমে অনুষ্ঠানে আগতদের বরণ করা হয়।

‘নবান্নের নতুন ধানে, হাসি ফুটুক সকল প্রাণে ’ এই স্লোগানে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় নবান্নকে।  

‌‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা। ‘চাঁন্দের আলো লাগে ভালো, চাঁদনী পসর রাইতে’ গান দুটি সমবেত কন্ঠে পরিবেশন করেন বিভাগের শিক্ষার্থী সৃজনী, স্রাব্দী, বিদিশা, মিশু, নুমং, মুহিত, রুদ্র এবং জান্নাত।  

পরে জনপ্রিয় লোক সংগীত বেদের মেয়ে জোসনা, চুমকি চলেছে একা পথে, ন্দের বাত্তি গানে নৃত্য পরিবেশন করেন মৃদুলা, মুহিত ,সৃজনী, স্রাব্দী, মিশু ও নুমং।  

কবি- রূদ্র মোহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত ‘খুব কাছে এসো না’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন স্রাব্দী তালুকদার এবং তুমি যদি এইহানে থাকতা কবিতাটি আবৃত্তি করেন মিশু।  

অনুষ্ঠানে একক পরিবেশন করেন তৃষা রুদ্র এবং সিয়ামুল ইসলাম তুহিন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান।  

এসময় তিনি বলেন, ‘বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবিকতার জন্য এসব উৎসবের প্রয়োজন অনেক বেশি। নবান্ন উৎসব গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করে। গ্রামীণ সত্তাকে পুনঃজাগরণ ঘটাতে কোলাহলপূর্ণ এ নগরীতে এ উৎসবের গুরুত্ব অনেক বেশি। ’ 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সহকারী অধ্যাপক ইমাম হোসেন। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।