ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইউপি নির্বাচন

সিলেটে ‘বিএনপির’ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী আ’লীগ

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
সিলেটে ‘বিএনপির’ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী আ’লীগ

সিলেট: সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচটিতেই বিএনপি নেতারা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গ্রামীণ জনপদে ভোট যুদ্ধে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে পেরে উঠলেন না আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা।

এ দুই উপজেলায় ৫টিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকার প্রতীকের প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। কেবল ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৩টিতে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ৮টি ইউনিয়নে পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষে গণনার পর রাতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে বেসরকারিভাবে ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও ৫টিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার দু’টি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ১নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে তৈয়ফুর রহমান শাহিন বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ৪৩৬। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইকবাল আহমদ খান পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭৭ ভোট।

২নং মাইজগাঁও ইউনিয়নে জুবেদ আহমেদ চৌধুরী শিপু নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৯০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ২৭৫ ভোট।

৩নং ঘিলাছড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে সাইফুল ইসলাম ৪ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী রুকুনুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ২ হাজার ৯৩৯ ভোট।

৪নং উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আহমেদ জিলু। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি ৪ হাজার ৮৭০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফজলুর রহমান পেয়েছেন ২ হাজার ৬৩৮ ভোট। আর নৌকার প্রার্থী লুলু মিয়া ১ হাজার ৯৮৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

৫নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আবজাল হোসাইন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৫৫৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান উদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ ভোট। এছাড়া নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১ হাজার ৮৬৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

এছাড়া সিলেট সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নেই নৌকার প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। এর মধ্যে খাদিমনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা দিলোয়ার হোসেন। তিনি চশমা প্রতীকে ১২ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইকলাল আহমেদ পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৬০ ভোট।

খাদিমপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বদরুল ইসলাম আজাদ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম পরাজিত হয়েছেন।

এছাড়া টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদেও নৌকা ডুবিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আনারস প্রতীকে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সফিকুর রহমান। চেয়ারম্যান পদে তিনি নৌকার প্রার্থী চা শ্রমিক নেতা রাজু গোয়ালাকের পরাজিত করেছেন। আনারস প্রতীকে মো. সফিকুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ১৮৮টি ভোট। আর নৌকা প্রতীকে রাজু গোয়ালা পেয়েছেন ৪ হাজার ৩১০ ভোট।

বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।