ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

চাকরি প্রার্থীর এনআইডি যাচাই এখন মাঠ পর্যায়ে

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
চাকরি প্রার্থীর এনআইডি যাচাই এখন মাঠ পর্যায়ে প্রতীকী ছবি

ঢাকা: চাকরি প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাইয়ের সুবিধা এখন থেকে মাঠ পর্যায়ে দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এনআইডি যাচাই করা যাবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে এনআইডি ভেরিফাই করার প্রয়োজন পড়লে, তা আগে ঢাকায় পাঠানো হতো বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট দফতরে তথ্য সরবরাহ করা হতো। এতে অনেক সময় বেশ বিলম্ব হতো। ফলে চাকরিপ্রার্থীরাও বিড়ম্বনায় পড়তেন। এসব সমস্যা সমাধানে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বিভিন্ন দফতর, সংস্থার সঙ্গে এ সংক্রান্ত বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে পরবর্তীতে এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর মাঠ কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে- বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দফতর, সংস্থা থেকে অফিসিয়ালি সহযোগিতা চাওয়া হলে সিনিয়র জেলা বা জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় হতে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের সুযোগ প্রদান করতে হবে।

কারও পরিচিতি যাচাই করতে হলে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হয়। এক্ষেত্রে ফি দিতে হবে ১০০ টাকা।

এদিকে কেবল ব্যক্তি নয়, প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও এনআইডি সার্ভারের তথ্য শেয়ার করছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে চুক্তির মাধ্যমে ইসির সার্ভার থেকে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৪টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ৪৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, ছয়টি মোবাইল কোম্পানি, ৬৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ২৮টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পাঁচটি বীমা প্রতিষ্ঠান, আটটি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি এবং অন্যান্য চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সার্ভার ব্যবহার করে থাকে ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটরগুলো। অর্থাৎ এ দুই ধরণের প্রতিষ্ঠান থেকেই অধিকাংশ রাজস্ব আদায় হয়। চুক্তিতে আসার পর প্রথমেই কোনো প্রতিষ্ঠানকে একটি নির্দিষ্ট অংকের এককালীন অর্থ পরিশোধ করতে হয়।

বর্তমানে প্রতি এনআইডি যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুইটাকা করে ফি দিতে হয়। তবে সম্প্রতি এ ফি বাড়িয়ে পাঁচ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ২০১২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে এনআইডি ডাটাবেজ ব্যবহার করে পরিচিতি যাচাই সেবার প্রচলন করেছে। ধীরে ধীরে এখন সব প্রতিষ্ঠানই ইসির সঙ্গে তথ্য শেয়ারের এ চুক্তিতে আসছে। এতে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব বাড়ছে, অন্যদিকে কমে যাচ্ছে জাল-জালিয়াতি।

এক-এগারো সরকারের সময়কার এটিএম শামসুল হুদার কমিশন ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেন। এরপর সেই তথ্য নিয়েই গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার। এতে বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গার তথ্য ছাড়াও দেশের ১২ কোটির বেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। যেখান থেকে নিমিষেই বের করা যাচ্ছে যেকোনো নাগরিকের পরিচয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।