ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

বিএনপিকে সংলাপে নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ডেকেছি: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
বিএনপিকে সংলাপে নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ডেকেছি: সিইসি

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিএনপিকে সংলাপে নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ডেকেছি। আর এটা সরকারের কোনো কূটকৌশল নয়।

যদি কেউ এটাকে কূটকৌশল মনে করতে চান, তবে এটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কূটকৌশল হতে পারে, সরকারের নয়। আর নির্বাচন কমিশন কখনোই কূটকৌশল হিসেবে এই কাজটি করেনি।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সিইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আপনাদের উদ্দেশ্যে দুটো কথা বলব। গণমাধ্যমে দেখেছি আমাদের এখান থেকে আমরা অনানুষ্ঠানিক পত্রে বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, আনুষ্ঠানিক নয়। আনুষ্ঠানিক হচ্ছে সংলাপ, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নিতে পারেন, এমন একটি চিঠি দিয়েছিলাম গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) শেষ বেলায়। বিভিন্ন বক্তব্য থেকে মনে হয় চিঠিটা ওনারা পেয়েছেন। আমার কাছে কোনো ইয়ে... আসেনি। তবে আমি ধরেই নিয়েছি ওনারা চিঠিটা পেয়েছেন। ওটার মূল জিনিসটা ছিল আমরা কিন্তু সংলাপে আহ্বান করিনি। সংলাপ বিষয়টা কিন্তু আনুষ্ঠানিক। আমরা ওনাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বলেছি আনুষ্ঠানিক না হলেও অন্তত অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আসতে পারেন। আমরা এই আমন্ত্রণ, আহ্বান অত্যন্ত বিনীতভাবে জানিয়েছি। ’

সিইসি বলেন, পত্র দেওয়ার পর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সত্য মিথ্যা জানলাম। বলা হয়েছে বা অনেকে বলতে চেয়েছেন এটা সরকারের একটা কূটকৌশল। আমি আপনাদের মাধ্যমে পুরো জাতিকে অবহিত বা আশ্বস্ত করতে চাই। এই পত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো রকম যোগসূত্র নেই বা ছিল না। যদি কেউ এটাকে কূটকৌশল মনে করতে চান, তবে এটি নির্বাচন কমিশনের কূটকৌশল হতে পারে, সরকারের নয়। আর নির্বাচন কমিশন কখনোই কূটকৌশল হিসেবে এই কাজটি করেনি। নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকেই আমরা অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে গণতন্ত্রের স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে বিশেষ করে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দলীয় শাসনটাই হচ্ছে মূখ্য। বিদ্রোহী প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর দ্বারা কখনো সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। সেজন্য নির্বাচন কমিশনেরও লক্ষ্য আমাদের দলগুলো চর্চার মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ হোক, আরও সংহত হোক। দলীয় চর্চা এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চর্চা আরও সংহত হোক। সেটা আমাদের প্রথমদিন থেকে সদিচ্ছা। সেই সদিচ্ছার প্রতিফলন আমাদের প্রথমদিন থেকে, সব সময় আপনাদের (গণমাধ্যমের) মাধ্যমে ঘটানোর চেষ্টা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।