ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আসন ভিত্তিক নয়, জেলা ভিত্তিকই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
আসন ভিত্তিক নয়, জেলা ভিত্তিকই রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ হবে

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে আসন ভিত্তিক নয়, জেলা ভিত্তিকই রিটার্নি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়ে অনেকেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে দেখছি। মিডিয়াতে দুটো বিষয়ে ভিন্ন রকম প্রতিবেদন এসেছে।

তিনি বলেন, আগে আইনে জেলা শব্দটি ছিল, এখন সেখানে আসন শব্দটি যোগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটাকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে এরকম-আমরা যখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন করি তখন সেখানে একটা জেলার ক্ষেত্রে একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়, যিনি জেলা প্রশাসক বা অন্য কেউ হতে পারেন। তখন তার জেলার আওতাধীন যতগুলো আসন থাকে, ততগুলো আসনের কার্যক্রম তদারকি করনে। আবার যখন উপ-নির্বাচন করি তখন একটা জেলার চারটা আসনের একটি যদি উপ-নির্বাচন হয়, তখন রিটার্নিং কর্মকর্তা কিন্তু ওই একটি আসনের জন্য নিয়োজিত হন। তার কার্যক্রম ওই একটি আসন ভিত্তিক হয়ে থাকে। সেখানে শুরুতে বলা হয়েছে, যখন যেখানে যিনি দায়িত্বে থাকবেন তখন তার তার কাজের পরিধি ঠিক করে দেওয়া। একটা সময় দুটো জেলার দুটি উপজেলা নিয়ে একটি আসন ছিল, তখন সেক্ষেত্রে জেলা শব্দটির সঙ্গে আসন শব্দটি থাকলে ভালো হয়। আবার উপ-নির্বাচনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করি। সেক্ষেত্রে একটি জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে দু’টি উপজেলা নিয়ে নির্বাচন হয়, তখন কিন্তু জেলা শব্দটি প্রযোজ্য হয় না, তখন যেখানে নির্বাচন হচ্ছে সেই আসনটুকু প্রযোজ্য হয়। এজন্য জেলা শব্দটির সঙ্গে আসনটি শব্দটি যোগ করা হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রেই আইনের ধারাটা না পড়েই ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে।

ইসি সচিব বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে, যদি কোথাও গুরুতর অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়, নির্বাচন কমিশন করতে পারেন, এটা আগে থেকে বলা আছে। এখন (সংশোধনী প্রস্তাবে) বলা হয়েছে, কোনো একটি ফলাফল তৈরির সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বিরবরণীটা কমিশনে পাঠাবে, তখন যদি গুরুতর কোনো অনিয়ম হয়, তখন নির্বাচন কমিশন যথাযথ তদন্ত করবে। তদন্তে যদি মনে হয় ফলাফল ঠিক আছে তাহলে তারা প্রকাশ করবে। অন্যথায় ওই গুরুতর অপরাধে ফলাফল সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি, তখন তারা বাতিল করতে পারবেন। এখানে গেজেট প্রজ্ঞাপনের পরে বাতিল, কথাটা কিন্তু তা না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আরপিও সংশোধন নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। সেখানে ইসির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। নীতিগত অনুমোদন বলতে যে প্রস্তাবনাগুলো আছে, সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখবে। তারপর পরবর্তী সভায় উত্থাপন করবে। কোনো অংশ বাতিল বা কোনোটা রাখা হবে সেটা কিন্তু নীতিগত অনুমোদনের সময় সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।