ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই: জাপার মেয়র প্রার্থী মধু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
ভোটের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই: জাপার মেয়র প্রার্থী মধু

খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশন  (কেসিসি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু অভিযোগ করেছেন ভোটের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।

তিনি বলেন, অন্য প্রার্থীদের সমর্থকদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

অথচ নৌকার প্রার্থী হলে তাকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। আমি এখনও বলি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা সন্দেহ। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত ভোটে লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (১২ জুন) নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খুলনা কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও বলেছি ‘ইভিএম হচ্ছে একটি জাদুর বাক্স’। আমি কয়েকটা কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি সেখানে ইভিএম নষ্ট হয়েছে। পল্লীমঙ্গল ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাটিতে ইভিএম  মেশিনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। যারা দায়িত্ব পালন করেছে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেছে মেশিনে ডিস্টার্ব দিয়েছে। দুই ঘণ্টা হয়ে গেলেও ভোট কাস্ট হয়েছে ৩০টি। দুই ঘণ্টায় যদি ৩০টি ভোট হয় তাহলে ভোটের সংখ্যা কমে। আমার সন্দেহ হচ্ছে এখানে কোনো কারচুপি আছে কিনা। খুলনা-২ আসনের ভোটারদের ইভিএম সম্পর্কে কিছু ধারণা আছে। কিন্তু খুলনা-৩ আসনের ভোটারদের মোটেও ধারণা নেই। তারা বলেছে একটা ভোট দিতে গেলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লেগে যায়। আমি নির্বাচন কমিশনকে আগেই বলেছি আপনাদের এ 'জাদুর বাক্স' এইবার মাফ করেন, শুনলো না। এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা দরকার।

এর আগে ইভিএমে হাতপাখায় চাপ দিলে নৌকায় ভোট যায় বলে অভিযোগ করেন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

সোমবার সকালে পশ্চিম বানিয়াখামার দারুল কোরআন বহুমুখী মাদ্রাসায় ভোট দিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করে আব্দুল আউয়াল বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি ভোট দেওয়া যাচ্ছে না। আমার এ কেন্দ্রে কোনো সমস্যা হয়নি। মেশিন নষ্ট, কোনো কোনো জায়গায় একটু উল্টাপাল্টা হচ্ছে।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এবারের কেসিসি নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (দেওয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।

৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে এক হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।