ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১৪শ কোটি টাকা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৩
সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১৪শ কোটি টাকা ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের লাইন। ফাইল ছবি

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সব মিলিয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। এই ব্যয়ের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ রাখা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়, আর এক তৃতীয়াংশ রাখা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনার পেছনে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩ ধরনের নির্বাচনী উপকরণ কিনতে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা ও লক, অমোচনীয় কালি, বিভিন্ন ধরনের সিল, স্ট্যাম্প, সিল, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, কাগজ, প্যাড, রশি প্রভৃতি।

এ ছাড়া নির্বাচনে দশ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত করা হবে। দায়িত্ব পালন করবেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা।

নির্বাচনী উপকরণ ক্রয় ও ভোটে দায়িত্বরতদের ভাতা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ধরা হয় নির্বাচন পরিচালনা ব্যয়। আর বাকিটা ধরা হয় আইন-শৃঙ্খলা ব্যয়।

কর্মকর্তারা বলছেন, এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ব্যবহার হবে না কোনো আসনেই। তাই সামগ্রিক অর্থে ব্যয় বেশ কম হবে। তবে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে, যার বেশিভাগ যাচ্ছে বিভিন্ন বাহিনীর পেছনে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব এ বিষয়ে বলেন, ইউনিট অনুযায়ী ব্যয়টা নির্ধারণ হয়েছে। যেমন পোলিং পারসনের সংখ্যা বেড়ে গেলে সেখানে মোট ব্যয়টা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা আমাদের ব্যয় আছে আরকি।

তিনি বলেন, বেশিভাগ টাকা যাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। মেজরিটি তাদের পেছনে যাবে। ৬৫ শতাংশ ব্যয় ওদের পেছনে যাবে। আর পরিচালনা ব্যয় হবে ৩৫ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যয়টা ডেপ্লয়মেন্টের ওপরে বেড়ে যায়। র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি এবং শেষে যদি আর্মি মোতায়েন করা হয়, সেভাবেই আমাদের ব্যয়টা ধরা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে এখনই বলা যাবে না, আরও ১০ দিন সময় লাগবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচনী কেনাকাটাসহ রোডম্যাপের অগ্রগতির বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা মোটামুটি এখনো অনট্র্যাকে আছি।

তিনি বলেন, সব কেনাকাটা চলছে। আমরা স্ট্যাম্প প্যাড নিয়ে পিছিয়ে আছি। তিনবার স্ট্যাম্পপ্যাড কেনার বিষয়টি বাতিল হয়েছে। কয়েকদিন আগে বাতিল হয়েছে, সেদিনও বাতিল হয়েছে। আজকে বিকেলে একসেপ্ট করেছি। এখন একটা ওয়ার্ক অর্ডার দিতে পারব।

তিনি আরও বলেন, অনেক মালামাল পেয়েও গেছি। হুসিয়ান ব্যাগ, গালা, সিল, ব্যালট বাক্সসহ সবই পেয়েছি। আগের অর্ডারের মধ্যে কেবল অমোচনীয় কালি সাপ্লাই শেষ করতে পারেনি। কেনাকাটার ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হয়েছে।

ব্যালট পেপার নিয়ে ইসির এই কর্মকর্তা বলেন, ব্যালট পেপার আমরা বিজি প্রেস থেকে ছাপাবো। একদম প্রতীক বরাদ্দের পর ছাপাতে দেওয়া হবে। ভোটের দশ-পনের দিন আগে ছাপানো হবে।

আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিতে চায় ইসি। আর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ভোটের আয়োজন এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রশিক্ষণও শুধু করেছে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই)। সেপ্টেম্বরে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে ভোটের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানান ইটিআই মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান। তারা ভোটের এক সপ্তাহ আগে ১০ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবেন।  

এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনকেও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে ইটিআই। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।