ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: সিইসি

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের আগে হোক কিংবা পরে হোক, সাম্প্রদায়িক সংঘাত হলে তার দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিতে হবে।

বুধবার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।

  

বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতার আশঙ্কা করে সিইসির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বৈঠকে তারা বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক সময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতা হয়েছে। এখনও ওনারা আশঙ্কা করেন আগামীতেও এই ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে তারা আবেদন রেখেছেন, আমরা যেন বিষয়টা বিবেচনায় নিই এবং আমাদের দিক থেকে করণীয় যা আছে তা যেন করি।

সিইসি বলেন, আমরা বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরা এটাও বলেছি- মূলত বিষয়টা দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে যখন নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টা সংশ্লিষ্ট হবে, সেটুকু পর্যন্ত আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমরা চিঠি দিয়ে সরকারকে, ডিসি (জেলা প্রশাসক), এসপিদের (পুলিশ সুপার), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যারা এর সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদেরকে অবহিত করব, যাতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা না হয়।

সাবেক এই আইনসচিব আরও বলেন, আমরা কঠোরভাবে তাদের সতর্ক করে দেব, এটা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়, বাঞ্ছিতও নয়। এটা কখনো সভ্য আচরণ হতে পারে না। এটা অমানবিক একটা বিষয়। আমরা এই ধরনের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমরা এই ব্যাপারে তাদেরকেও অনুরোধ করেছি যে, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনারা শঙ্কার কথা ব্যক্ত করে রাখুন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ১৫ দিন পর পর্যন্ত আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর থাকে। আমরা সেদিকে নজর রাখব। নির্বাচনোত্তর হোক, আর যখনই হোক দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘাত যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল তাদের সঙ্গে বৈঠক করে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
ইইউডি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।