ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সংসদ নির্বাচন: ডিসি-এসপিদের সহায়ক হিসেবে থাকবেন ইসি কর্মকর্তারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
সংসদ নির্বাচন: ডিসি-এসপিদের সহায়ক হিসেবে থাকবেন ইসি কর্মকর্তারা

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সহায়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে কিছু কিছু জেলায় নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও রিটার্নিং কর্মকর্তার পদে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ডিসি-এসপিদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন ইঙ্গিত দেন নির্বাচন কমিশনাররা।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ডিসিদের নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ইসি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতেও কোনো বাধা নেই।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার আমরা কাদের করবো, এটা এখনো ঠিক হয়নি। এটা তফসিল ঘোষণা যখন, তখনই কেবল জানা যাবে। কিন্তু দায়িত্ব পালন সবাইকেই করতে হবে। আমাদের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সহায়ক কর্মকর্তা হিসেবে কাজে লাগাবেন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা জীবনে কোনো না কোনো সময় নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর পুলিশের যারা আছেন, তাদের তো চাকরিজীবনের শুরু থেকেই এ দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমাদের যে বাধ্যবাধকতা আছে সংসদ শেষ হওয়ার পূর্বের তিন মাস অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকে আগামী বছরে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, যদি না কিছু ব্যতিক্রম সংবিধানে যেটা আছে, সেগুলো না ঘটে।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আইনে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কিছু কনফিউশন থাকলে জেনে নেবেন। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই মাঠে হয়তো অনেক কথা থাকতে পারে, যে নির্বাচন অন্য কোনো ফরমেটে হবে। সে বিষয়গুলো রাজনৈতিক। সেগুলো দেখার দায়িত্ব কমিশনেরও নেই, আপনাদেরও নেই। রাজনৈতিক সমস্যা যদি কিছু থেকে থাকে, রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিকভাবে করে থাকবেন। যেটুকু সমাধান করবেন, সেটুকু দিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, সম্ভাব্য রিটার্নিং অফিসাররা এখানে আছেন। ডিসিরা পাশাপাশি আমাদের কর্মকর্তারাও রিটার্নিং কর্মকর্তা হতে পারেন। সুন্দর, সুষ্ঠুভাবে যাতে কাজ করতে পারেন এজন্যই প্রশিক্ষণ জরুরি মনে করেছি।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি পাঁচ বছর পরপর ভোট হয়। তাই প্রশিক্ষণের বিকল্প নাই। দুদিনের কোর্সে আইনগুলো সম্পর্কে জেনে নেবেন। অনেক দিন প্রয়োগ না করলে জানা থাকলেও মনে থাকে না। তাই এটি ধারণ করে, লালন করে মাঠে প্রয়োগ করবেন। আপনারা আন্তরিক থাকবেন।

কর্মশালায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইটিআই মহাপরিচালকসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ৩২ জেলার ডিসি-এসপি, চার বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদিনের আবাসিক এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ১১৭ জন মাঠ প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ইসি কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএস  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।