ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ না করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, তফসিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অজুহাতে নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ৫ অক্টোবর ২৪তম সভায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২২-এ সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ১৫ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন অন্তর্ভুক্তি ও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটার স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পাঠানো হয়। ওই মুদ্রিত ভোটার তালিকা মনোনয়নপত্র বাছাইসহ অন্যান্য কার্যক্রমে ব্যবহার করতে হবে।
এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বরের পরও বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে তথ্য দেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নতুন নিবন্ধন বা এনআইডি প্রাপ্তির প্রয়োজনে নাগরিকদের বায়োমেট্রিকসহ তথ্যাদি নিতে আপত্তি বা অনাগ্রহ দেখান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সে লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধিত তথ্য এবং নতুন নিবন্ধিত ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য পাঠানো চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না। তবে, কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজন হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা পাঠানো হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই কোনো ব্যক্তি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে হলে মুদ্রিত ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে।
এজন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইসহ সব কার্যক্রম সর্বশেষ পাঠানো চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বা সিডি বা মুদ্রিত তালিকা অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।
১৪ সেপ্টেম্বরের পর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ভোটার স্থানান্তর করা হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হবে এবং সেক্ষেত্রে সম্পূরক ভোটার তালিকার ভিত্তিতেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ