ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন করলে হাড় ভেঙে দেওয়ার হুমকি, প্রার্থীকে শোকজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন করলে হাড় ভেঙে দেওয়ার হুমকি, প্রার্থীকে শোকজ নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা

পঞ্চগড়: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীর এক নির্বাচনী প্রচারণায় তার এক সমর্থকের দেওয়া হুমকির বক্তব্যে নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তাকে তার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা দায়রা জর্জ মার্জিয়া খাতুন লিখিতভাবে এ নোটিশ দেন।

নোটিশে বলা হয়, নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১০ থেকে ১১টার দিকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছ পুকুরী এলাকায় একটি নির্বাচনী প্রচারণার আয়োজন করেন। সেখানে নাঈমুজ্জামানের উপস্থিতিতে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব নির্বাচনী বক্তব্য দেন। এ সময় নৌকা মার্কা ও নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন ও নির্বাচনী সংযোগ করলে সেই সব সমর্থকদের হাড়হাড্ডি ভেঙে দেবেন বলে কর্মী-সমর্থদের নির্দেশ দেন এবং বিপরীত প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকি দেন আরিফুল ইসলাম। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা লঙ্ঘন হওয়ায় তার কারণ বুধবারের (৬ ডিসেম্বর) মধ্যে দর্শানোর নোটিশ দেওয়া  হয়।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা দায়রা জর্জ মার্জিয়া খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, নৌকার প্রার্থীর হুমকির সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আমাদের নজরে আসে। যেহেতু এ ঘটনায় আচরণবিধিমালা লঙ্ঘন হয়েছে, তাই আমরা তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।  

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, যে বক্তব্যের বিষয়ে নোটিশ করা হয়েছে, সেটি আমার বক্তব্য ছিল না। তবে আমার মঞ্চে ঘটনাটি ঘটেছে, সেজন্য আমি এর দায় এড়াতে পারি না। যেহেতু নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাই, বুধবার সশরীরে হাজির হয়ে এর জবাব দেব।  

তবে আমার মনোনয়নপত্র ঘোষণার পর কিছুসংখ্যক নেতা-কর্মী সড়ক অবরোধ করলেন, আগুণ জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করলেন, এমনকি দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলেন, তখন তো তফসিল ঘোষণা হয়েছিল। সেটাও নিশ্চয়ই আচরণবিধি লঙ্ঘনে পড়ে। এসব বিষয়টি তখন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীদ্বয়ের লোকজন এখনও আমাদের বিরুদ্ধে নানান হুমকি দিচ্ছেন। এসব বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়েই হয়তো দলের সাংগঠনিক সম্পাদক দলীয় যেসব নেতা-কর্মী সুবিধা নিয়ে এখন আবার দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন। তবে এ ধরনের কথা যেন কেউ আর না বলেন, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।