ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পাবনায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ, হুমকির অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
পাবনায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ, হুমকির অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের

পাবনা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই ধাপে পাবনার পাঁচটি আসনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রথম ধাপে পাবনা-১, ২, ৩ আসনের প্রার্থীদের এবং দ্বিতীয় ধাপে পাবনা-৪, ৫ আসনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এ সময় জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। যাচাই বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে পাবনার পাঁচটি আসনে মোট ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জানা গেছে, দলীয় প্রার্থীদের তাদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে পাবনা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ট্রাক প্রতীক, পাবনা-২ আসনে বিএনএম প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী নোঙর প্রতীক, পাবনা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ ট্রাক প্রতীক এবং পাবনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পান।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ ও পাবনা-২ আসনের বিএনএম প্রার্থী ডলি সায়ন্তনী তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

পাবনা সদর-৫ আসনের প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী কমরেড জাকির হোসেন বলেন, নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনাসহ সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসার একটি প্রয়াস আমাদের। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশে রাজনৈতিক সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে। যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা সব সময় মনে করেন আমরা সঠিক রয়েছি। সাধারণ মানুষ পরিবর্তন প্রত্যাশা করেন। উন্নয়নের নামে দেশে একটি অরাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। আসন্ন নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সেই পরিবেশ ফিরে আসবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, প্রচারণা শুরুর অনেক আগে থেকেই নৌকার নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে আমাকে এবং আমার সমর্থক লোকজনকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। নৌকা ছাড়া কাউকে ভোট করতে দেওয়া হবে না, নৌকায় ভোট না দিলে ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নাই, নৌকার বাইরে কেউ ভোট দিলে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে-এমন হুমকি ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন তারা। এতে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ভোটকে উৎসবমুখর ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রধানমন্ত্রীর যে চ্যালেঞ্জ সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।

পাবনা-২ আসনের বিএনএম প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী বলেন, ইতিমধ্যে এলাকায় আমার একটি আলাদা ইমেজ তৈরি হয়েছে। মানুষ আমাকে গ্রহণ করেছে। কিন্তু আমি যাতে নির্বাচন করতে না পারি, এজন্য ফোনে ও মেসেজে হুমকি আসছে। তাই আমি নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। আশা করছি সবার সহযোগিতায় একটি উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পাবনা-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ বলেন, আমি পাবনা-৪ আসনে সব প্রার্থীকে স্বত:স্ফূর্তভাবে তাদের প্রচারণা চালাতে অনুরোধ করবো। আমার দ্বারা কেউ হুমকির শিকার হবেন না। আমি তাদের সহযোগিতা করবো। সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন আমরা উপহার দেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।