ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

মাদারীপুরের দুই উপজেলার সব ভোটকেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৪
মাদারীপুরের দুই উপজেলার সব ভোটকেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’

মাদারীপুর: মাদারীপুরে সদর ও রাজৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সবকটি ভোটকেন্দ্রই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সেই হিসেবে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে জেলার পুলিশ লাইন্স মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন কর্মকর্তারা। পরে ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ সময় দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত পুলিশ, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলায় ১১৭টি ও রাজৈর উপজেলায় ৬৯টি ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে প্রশাসন। প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ ও ২০ জন আনসার বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এজন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।  

মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম জানান, আগামীকাল বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। ভোটারদের সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।

এসপি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই হিসেবে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন পুলিশ, ২০ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া সদর উপজেলায় ২৯টি ও রাজৈরে ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সদরে সাতটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও রাজৈরে থাকবে তিনটি। সদর উপজেলায় ছয় প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও রাজৈরে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খান এবং শাজাহান খানের চাচাতো ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট দুজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সদর উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ২২ হাজার ৪২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৬ হাজার, নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২১ জন। আর পাঁচজন রয়েছেন অন্যান্য ভোটার। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র ১১৭টি, যেখানে ৭৯৪টি কক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা।  

এদিকে রাজৈর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজৈরে মোট ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৩৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ৪৪৫ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৯০৯ জন ও অন্যান্য ভোটার দুজন। এ উপজেলায় ৬৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫০০টি কক্ষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন ভোটাররা।

এসপি মাসুদ আলম আরও জানান, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করবেন। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।