নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার সময়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসীন আলী।
এর আগে উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ডোমার থানায় মামলাটি করেন।
গত বুধবার (৮ মে) রাত ৯টার দিকে ডোমার উপজেলা পরিষদের হল রুমে পরাজিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের হলরুমের চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১১টার দিকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ৩১ হাজার ৪২১ ভোট পেয়ে সরকার ফারহানা আকতার সুমি (টেলিফোন) বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস প্রতীক) ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট পান। ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে আবারও হট্টগোলের সৃষ্টি করেন। সেসময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
এ বিষয়ে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহশীন আলী বলেন, ঘটনার রাতেই মামলা হয়েছে। নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আমরা সব কিছু তদন্ত করছি। যারা জড়িত ছিল সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
এসআরএস