ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
এনআইডি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত

ঢাকা: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) আইডিইএ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। দেশে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়করা।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে তারা চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়া ও এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনেই রাখার দাবিতে ওই কর্মসূচির ডাক দেন। এরপর গত বুধবার (২১ আগস্ট) ও বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে সারা দেশে এনআইডি কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ইসি সচিব শফিউল আজিম।

এক বিবৃতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং সরকারের প্রতি সম্মান রেখে নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ-২ প্রকল্পের আউটসোর্সিং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র আইন ২০২৩ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালনার দাবিতে ডাকা কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সবাইকে বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ-২ প্রকল্প পরিবার।

ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে গত ২১ আগস্ট দেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এনআইডি অনুবিভাগ ইসি থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন নেওয়ার জন্য স্বতন্ত্র একটি আইন প্রণয়ন করে সরকার। তবে সেখানে বলা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে কার্যক্রম না নেবে ততদিন পর্যন্ত তা ইসির অধীনেই থাকবে। সরকার আইনটি করার সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ ও সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা এনআইডি ইসির অধীনে রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, যেহেতু ভোটার তালিকার ভিত্তিতে এনআইডি সরবরাহ করা হয়, সেহেতু ইসির অধীনে এ কার্যক্রম থাকাই নিরাপদ। এছাড়া ইসির এ কার্যক্রমের জন্য রয়েছে দেড় যুগের দক্ষতা, অবকাঠামো। নতুন করে অন্য কোনো দপ্তরের অধীন নিলে নতুন করে লোকবল, অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এতে রাষ্ট্রের ব্যয় ও নাগরিকদের ভোগান্তি বাড়বে।

অন্যদিকে এনআইডি শাখায় কর্মরতদের অনেকের চাকরিজীবন কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে গেছে। তাই তাদের প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে না নেওয়াটা অমানবিক মনে করছেন অনেকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।