ঢাকা, রবিবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইসি নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
ইসি নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে

ঢাকা: নির্বাচন সংস্কার বিষয় কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারের সুপারিশ করা হবে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইসি নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার। সরকার যখন চাইবে আমরা আশা করি, তখনই আমরা উনাদের একটা খসড়া দিতে পারব। উনারা যখন চান... নির্বাচন কমিশন নিয়োগ বা আইনটাতো একটা বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত বিষয় নয়। এটার সাথে অনেক বিষয় যুক্ত আছে। আলোচনার ভিত্তিতে হলে ভালো হবে।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা যথা সময়ে কাজ শুরু করেছি। এখন আইন-কানুন বিধিমালা পর্যালোচনা করছি। যাতে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয়, সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে যাতে সংস্কার করতে পারি। আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছি। এতে কী থাকা উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ফেসবুক পেজ হবে, আমাদের ই-মেইল হবে। সবার কাছ থেকে তথ্য, প্রস্তাব, সুপারিশ এগুলো আমরা চাইব। ওয়েবসাইট ইসির ওয়েবসাইটের সাবডোমেইন হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যাবে।

ওয়েবসাইটে কী বিষয়ে মতামত চাইবেন, সংবিধান নিয়ে কী আলোচনা করছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা লাইন ধরে ধরে পর্যালোচনা করছি। সুনির্দিষ্ট কোনো কিছু নয়। যেদিন আমরা সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাব, সেদিন এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।

সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যায়ে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ল। এরপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন আছে, এ ধরনের অনেকগুলো আইন আছে। আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন আছে। সেগুলো নিয়েও পর্যালোচনা করতে হবে। পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে।  নির্বাচন পর্যবেক্ষক এমন অনেক কাজ বিস্তৃত, যেগুলো আমরা পর্যালোচনা করব।

ইসির বর্তমান নিয়োগ বা পদোন্নতি বন্ধ রাখতে বলবেন কি সংস্কারকালীন? এই প্রশ্নের জবাবে সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, এগুলো হচ্ছে নির্বাহী সিদ্ধান্ত। আমাদের নির্বাহী ক্ষমতা বা এখতিয়ার নেই। এটা সরকারের বিষয়। যদি সিদ্ধান্ত দিতে হয় সরকারকে দিতে হবে।

বিগত তিন নির্বাচনের অনিয়মের ক্ষেত্রে কী অগ্রাধিকার দেবেন? জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, অবশ্যই যেসব অনিয়ম, ব্যত্যয় ঘটেছে, এগুলো আমরা চিহ্নিত করব। ভালো কিছু হলে সেগুলোও আমরা চিহ্নিত করব। নির্বাচনী প্রক্রিয়াটাতো একদিনের বিষয় নয়। এটা একটা সাইকেল। এই সাইকেল পর্যালোচনা করে ব্যত্যয় যা করেছে তার চিহ্নিত করে সুপারিশ করবে।

স্থানীয় নির্বাচন কখন হবে? জাতীয় নির্বাচনের আগে না পরে, জানতে চাইলে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষক বলেন, এটাও আমাদের এখতিয়ার বর্হির্ভূত। এটা সরকারকেই নিতে হবে।

অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবেন কি-না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সুপারিশ থাকবে। তবে সে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। আমরা কর্মকর্তা এবং কমিশনের বিষয়ও পর্যালোচনা করব।

না ভোট নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবকিছুই বিবেচনায় নেব। যত মতামত আসবে যত পর্যালোচনা করব। নির্বাচন বিষয়ে যে কেউ যেকোনো মতামত দিতে পাবরেন। উন্মুক্ত মতামত নেওয়া হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরাতো নিশ্চিত করতে পারব না, যে কেউ অপকর্ম করবে না। তবে আমরা গার্ডরেইল তৈরি করব। সিঁড়ির পাশ দিয়ে যেমন বেরিয়ার থাকে। কেউ যেন পড়ে না যায়। কিন্তু কেউ যদি ঝাঁপ দিতে চায় তাহলে তো কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করব এমন সব সুপারিশ করার, যেন একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়। দি পিপল অব দিস কান্ট্রি ডিজার্ব ইট।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৪
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।