ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত আবেদনে তথ্যের ঘাটতি থাকলে বা কোনো দলিলাদি না থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীর সঙ্গে ইমো বা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর সঙ্গে যোগাযোগের পরে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।
ইসির এনআইডি অনুবিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলছেন, অনেক প্রবাসী আবেদন করে কোনো দলিলাদি সংযুক্ত করেন না। অনেকের আবেদন অসস্পূর্ণ থাকে। ঠিকানায় ভুল থাকে। ফলে তাদের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যায় না। আবার নিষ্পত্তি করতে হলে বাতিল করতে হয়। এই সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা আবেদনে যে নম্বর দেবেন, সেই নম্বরের ইমো কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হবে।
ইতোমধ্যে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এক লিখিত নির্দেশনায় বলেছেন, প্রবাসীদের ক্ষেত্রে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবাদান করতে হবে। তাদের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে ডকুমেন্ট সংযুক্ত না থাকলে আবেদন বাতিল না করে প্রয়োজনে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগযোগ করে ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়ায় স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধনও হয়েছে। পরবর্তীতে ওমান, বাহরাইন, জর্দান, সিংগাপুর, লেবানন, লিবিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপে এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগটি হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থারত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আবর, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়।
সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সতত্যা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন সম্প্রতি পদত্যাগী কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করে। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করে ওই কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৪
ইইউডি/এমজেএফ