ঢাকা: তথ্য জালিয়াতি করে একাধিকবার ভোটার হওয়া ঠেকাতে এবং ব্যক্তি শনাক্ত করতে ছবি তোলার স্থান এবার সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে এনআইডি জালিয়াতি রোধে সঙ্গে সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ অন্যজনের সঙ্গে মিলে যাওয়ার জটিলতাও নিরসন হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, অনেকেই একাধিক এনআইডি পাওয়ার জন্য পায়ের আঙ্গুলের ছাপ দিয়েও ভোটার হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে এ ধরনের অপরাধ রোধ করা যাবে৷ কেননা, সিসি ক্যামেরার বাইরে আঙ্গুলের ছাপ কিংবা ছবি তোলাই যাবে না।
অন্যদিকে অনেক আঙ্গুলের ছাপ অন্যজনের সঙ্গে মিলে যায় বিভিন্ন অসুখ বা ভিন্ন ভিন্ন কারণে। এতে কার্ডগুলো ব্লক করে রাখা হয়। সিসি ক্যামেরায় কারো আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার ফুটেজ থাকলে ব্লক ওঠাতে সশরীরে আর এনআইডি অফিসে আসতে হবে। এতে সেবার মান বাড়বে।
ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার স্থান সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার নির্দেশনা এরই মধ্যে একটি চিঠিতে মাঠ কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন ইসির এনআইডি শাখার উপ-পরিচালক মাহবুবা মমতা হেনা।
এতে বলা হয়েছে, যে কক্ষের যে স্থানে বায়োমেট্রিক ডাটা গ্রহণ করা হয় সেই কক্ষ ও স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে এবং তা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
এছাড়া নির্দেশনায় নতুন ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করতে (বিশেষ এলাকা ব্যতীত), নতুন ভোটার নিবন্ধনের সময় অ্যাপয়েন্টমেন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভোটারকে শিডিউল (ছবি তোলার তারিখ ও সময়) প্রদান, এসএমএস'র মাধ্যমে ছবিসহ বায়োমেট্রিক ডাটা গ্রহণের সময় ও তারিখ জানিয়ে দিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তিকরণ, কী কী দলিলাদি প্রয়োজন হবে তা সিস্টেমের মাধ্যমে ভোটারকে জানানো, প্রতিদিন নতুন ভোটারদের ছবিসহ বায়োমেট্রিক ডাটা গ্রহণের ব্যবস্থা করা ও তা পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে সার্ভারে আপলোড করার জন্য বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২৪
ইইউডি/জেএইচ