ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রেজা কিবরিয়া, রনি, নাছিরসহ ৮৪ জনের আপিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৮
রেজা কিবরিয়া, রনি, নাছিরসহ ৮৪ জনের আপিল প্রার্থিতা ফিরে পেতে তারা আপিল করেছেন

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রে বৈধতা পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, সাবেক মন্ত্রী মীর নাছির, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনিসহ ৮৪ প্রার্থী।
 

সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর (রোববার) তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।


 
চট্টগ্রাম-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিমানমন্ত্রী মীর নাছির উদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সরকারের চাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। আপিলে প্রার্থিতা দেবে বলে আশা করি।
 
পটুয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী গোলাম মওলা রনি বলেন, সামান্য ভুলের কারণে বাতিল হয়েছে। এটা বাতিলের মতো ভুল ছিল না, যেখানে ইসি থেকে ছোট ভুলের জন্য বাতিল না করার নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে আশাবাদী। কমিশনের প্রতি আস্থা আছে। আশা করি আমি নির্বাচন করার সুযোগ পাবো।
 
বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী হিরো আলম বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশনে ন্যায়বিচার পাবো। অনথ্যায় আমি আদালতে যাবো। মন্ত্রী-এমপিরা চায় না। রাজারা চায় না প্রজারা রাজা হোক। জিরো থেকে হিরো হয়েছি। ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।

যারা আপিল করেছেন: 
 
ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক, পটুয়াখালী-৩ গোলাম মাওলা রনি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ শামসুল হুদা, বগুড়া-৭ খোরশেদ মিলটন,  খাগড়াছড়ি- আবুল ওয়াদুদ ভুইয়া, ঝিনাইদহ-১ আ. ওয়াহাব,  ঢাকা- ২০ তমিজউদদীন, সাতক্ষীরা-২ মো. আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ -২ মো. আক্তারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ আব্দুল খালেক, দিনাজপুর- ২ মোকাররম হোসেন।

ঝিনাইদহ-২ আব্দুল মজিদ, মাদারীপুর-৩ আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ মোকারম হোসেন, ঝিনাইদহ-২ অব. লেফট্যানেন্ট আব্দুল মজিদ, দিনাজপুর-৩ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ ফরিদুল কবির তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ মো. সুমন, দিনাজপুর-১ পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ এস এম খলিলুর রহমান, জয়পুরহাট-১ মো. ফজলুল রহমান।
 
পাবনা-৩ হাসাদুল ইসলাম, ফেনী-১ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আবু সাঈদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ মো রুবেল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ তৌহিদুল ইসলাম,ময়মনসিংহ-২ এনামুল হক খান, মানিকগঞ্জ-২ আরিফুর রহমান খান, খুলনা-২ এস এম এরশাদুর উজ্জামান, নাটোর-১ নীরেন্দ্রনাথ সাহা, সিরাজগঞ্জ-৩ আইনাল হক, ঢাকা-১ আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ আব্দুল মুহিত, গাজীপুর-২ মাহবুব আলম।
 
বগুড়া-৬ এ কে এম মাহাবুবুর রহমান, রাঙামাটি-অমর কুমার দে, গাজীপুর-২ মো. জয়লান আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ জেসমিন নুর বেবী, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম, খুলনা-৬ এস এম শফিকুল আলম, বগুড়া-৪ মো. আশরাফুল হোসেন (হিরু আলম), হবিগঞ্জ-২ মো. জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ-১ জোবাইর আহম্মেদ, ঢাকা-১৪ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ, সাতক্ষীরা-১ মুজিবুর রহমান, ময়মনসিংহ-৭ জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আব্দুল্লাহ আল হেলাল।
 
ময়মনসিংহ-২ মো আবু বক্কর সিদ্দিক, শেরপুর-২ এ কে এম মোখলেছুর রহমান, হবিগঞ্জ-৪ মওলানা মো সোলাইমান খান, নাটোর-৪ আলাউদ্দিন মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ মো, বশির উল্লাহ, নওগা-৪ মো.আফজাল  হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ ইউনুস আলী, বরিশাল-২ আনিসুজ্জামান, ঢাকা-৫ সেলিম ভুইয়া, ঝিনাইদহ-৩ কামরুজ্জামান, মৌলভীবাজার-২ মহিবুল কাদির চৌধুরী, কুমিল্লা-৩ কে এম মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ তোজাম্মেল হক।
 
সিলেট-৫ ফয়েজুল মনির চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৩ আহম্মেদ তাইবুর রহমান, চট্টগ্রাম-৫ মীর নাছির উদ্দিন, ঝিনাইদহ-৪ আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সৈয়দ আহম্মদ লিটন, ফেনী-৩ হাসান আহম্মদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মামুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আবু আসিফ আহম্মদ, ঢাকা-১৪ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ-১০ হাবিবুল্লাহ বেলালী, পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ, জামালপুর-৪ মামুনুর রশিদ।
 
মানিকগঞ্জ-৩ আতাউর রহমান আতা, ময়মনসিংহ-৮ এম এ বাশার, ঢাকা-১৪ আবু বক্কর সিদ্দিক, বগুড়া-২ আবুল কাশেম, কুড়িগ্রাম-৩ আব্দুল খালেক, কুড়িগ্রাম-৪ মাহাফুজা রহমান ও নেত্রকোনা-১ শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার
 
আপিলকারীদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি অন্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করার জন্য স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বলে সোমবার বিকেলে জানিয়েছেন ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা।
 
এদিকে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার কমিশনে এলেও আপিল করেননি।
 
৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল আবেদন জমা দেওয়া যাবে। ৬-৮ ডিসেম্বর শুনানি করে আবেদন নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।
 
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৮/আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।