রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের নয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে সাতজনের মনোনয়পত্র বাছাই শেষ বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম রাজু, জাতীয় পার্টির রাহগির আল মাহি সাদ, বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রংপুর-৩ আসন থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই যদি হয়, তবে এরশাদপুত্রের জন্য জাপা দুর্গ রক্ষা করা সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সেটা সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়েই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন। সে অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর আসনটিতে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
রংপুর-৩ আসনটি সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ব্যতীত রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।
ইভিএম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনটিতে ইভিএমে ভোট নিয়েছিল ইসি। রংপুর-৩ আসনে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
ইইউডি/এএ