অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য ‘ইকেলটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি’ গঠন করে এমনটিই জানিয়েছে সংস্থাটি।
রংপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এফ এম আহসানুল হককে চেয়ারম্যান এবং সহকারী জজ আশফাকুর রহমানকে সদস্য হিসেবে এই কমিটিতে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত কমিটির কার্যপরিধি সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে- নির্বাচন পূর্ব সময়ে (তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়) আচরণ বিধি লঙ্ঘন, কোনো প্রার্থীর নামে অপপ্রচার, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে উল্লেখিত যেকোনো অপরাধ সংঘঠিত হলে কমিটি সে বিষয়ে তদন্ত করবে। সেই তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করবে কমিটি। এক্ষেত্রে তদন্ত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ই-মেইলে সুপারিশ করার জন্য কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশন সেই সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রার্থী ওই ধরনের অপরাধ তাৎক্ষণিক বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেবে। আর সেটা পালন না হলেই জরিমানা দিতে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দলের জরিমানা গুণতে হবে এক লাখ টাকা। আর কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে।
গণপ্রতিধিত্ব আদেশ ৯১(এ) দফার ৮ ও ৯ ধারা অনুযায়ী কমিটির সামনে যেকোনো কার্যক্রম দণ্ডবিধির ১৯৩ ও ২২৮ ধারার বিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগী কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া দেওয়ানি কার্যবিধির অধীন মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতের যেকোনো ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত ও শপথপূর্বক তাকে পরীক্ষণ এবং দলিল দস্তাবেজ উপস্থাপন বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া সংক্রান্ত যেসব ক্ষমতা রয়েছে সে সব ক্ষমতা কমিটির থাকবে।
রংপুরের নির্বাচন নিয়ে এরইমধ্যে পূজা উদযাপন কমিটি ও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হামলার আশঙ্কাও করেছে। ৮ অক্টোবর দুর্গাপূজার দশমী। এজন্য সংগঠন দু’টির পক্ষ থেকে নির্বাচন পেছানোর দাবি তোলা হয়েছে, যদিও নির্বাচন কমিশন সে দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
আগামী ৫ অক্টোবর রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ. ই. ম গোলাম কিবরিয়া ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন।
সংবিধান অনুযায়ী, কোনো আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। সে অনুযায়ী আগামী ১১ অক্টোবরের মধ্যে এ আসনটিতে ভোটের বাধ্যবাধকতা আছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর ভোটের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
রংপুর-৩ আসনটি সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ছাড়া রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুসারে, এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রংপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস