ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিভিন্ন দূতাবাস গর্হিত কাজ করেছে: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
বিভিন্ন দূতাবাস গর্হিত কাজ করেছে: প্রধানমন্ত্রী কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং

ঢাকা: বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাস গর্হিত কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিভিন্ন দূতাবাসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,  ‘তাদের দেশে ভোট কেমন হয় এ রকম কিছু কিছু নমুনা তো আমাদের জানা আছে।

তবে একটা কাজ তারা ঠিক করেনি। বিভিন্ন দূতাবাসে বাংলাদেশের অনেক নাগরিক চাকরি করেন, যারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং সেখানে চাকরি করেন, চাকরিজীবী। ’

‘তাদের নির্বাচনে তারা বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ হয়েছে। তারা একজন দেশীয় কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠাতে পারেন না, এ কাজটি সঠিক করেননি তারা। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে অনেক ধরনের... লোক আছে। আমি তাদের চিনি। কারো পিতা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে জড়িত ছিল; কেউ ছিল স্বাধীনতাবিরোধী, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের উত্তরসূরি- এ রকম বহুজন রয়েছে। রাষ্ট্রদূতদের ওখানে তারা কাজ করে। তাদের নামও কিন্তু তারা তালিকায় দিয়েছে!’

ভোট প্রয়োগ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  ছবি: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংএ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এটা কীভাবে গ্রহণ করে? নির্বাচন কমিশনের আইনে স্পষ্ট দেওয়াই আছে বিদেশি পর্যবেক্ষক মানে তাদের বিদেশি হতে হবে। বিদেশি না হয়ে কীভাবে নির্বাচন কমিশন তাদের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে গ্রহণ করেছে আমি জানি না, কীভাবে তারা এটা গ্রহণ করলো?’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (বিএনপি) এরকম গুণ্ডবাহিনী আনবে, প্রয়োজনে সন্ত্রাসী আনবে- এটার তো তাদের একটা চরিত্রগত অভ্যাস। '

পড়ুন>>ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

‘জনগণের ওপর তারা কিছুতেই আস্থা বিশ্বাস রাখতে পারে না, ডিজিটাল পদ্ধতির ওপরে তারা আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ তারা জানে যে, এই পদ্ধতিতে ভোট কারচুপি করা যায় না। কারচুপির সুযোগ না পেলে তারা এই ধরনের গুণ্ডামী-সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে চায়। অতীতে যা করেছে তারা তা আবার করতে চায়। ’

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এ ধরনের পথ পরিহার করে জনগণের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট হোন। ’

তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ টানা তিনবার ক্ষমতায় এসেছে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। যার ফলাফল দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। '

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী জয়ী হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর আগে সকাল আটটার কয়েক মিনিট আগে ভোটকেন্দ্রে আসেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আটটা বাজার পর তিনি তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এমইউএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।