ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি জালিয়াতি: ২ ডাটা এন্ট্রি অপারেট চাকরিচ্যুত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
এনআইডি জালিয়াতি:  ২ ডাটা এন্ট্রি অপারেট চাকরিচ্যুত

ঢাকা: অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটার করার প্রচেষ্টার অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলা ও সদর উপজেলার দু’জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আইডিইএ প্রকল্পের কমিউনিকেশন কনসালট্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম সোমবার (১২ অক্টোবর) এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস আইডিইএ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।  

এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের মাধ্যমে ভোটার করায় লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জুয়েল বাবু ও সদর থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এসএম আজম শাহীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।


তিনি আরও জানান, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আজাদুল হেলাল।

মামলার বিবরণ এ বলা হয়, লালমনিরহাট অফিসে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জুয়েল বাবু বিনা অনুমতিতে ছুটির দিনে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে অফিসের আরেক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এস এম আজম শাহীর সঙ্গে যোগসাজশে অনিবাসী/ঠিকানাবিহীন ব্যক্তিকে অবধৈভাবে ভোটার করার চেষ্টা করেন। গত ২০ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুয়েল বাবু ও এস এম আজম শাহী ভোটারদের উপজেলা সার্ভার কক্ষে নিয়ে ভোটার নিবন্ধন করাচ্ছিলেন। বিষয়টি দেখতে পান উপজেলা সদর নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজাদুল হেলাল।

এসময় ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কাছে মোছা. আফরোজা বেগম, মো. মাসুম ও মো. সোহেল নামে তিনটি আবেদন ফরম দেখতে পান, পরে সার্ভার যাচাই করে অল্প সময় আগে নতুন ভোটার হওয়ার নিবন্ধন ডাটা পাওয়া যায়।

আর্থিক প্রলোভনে পড়ে তারা গোপনে ভোটারদের ডেকে এনে নিবন্ধন করেছেন বলে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছেই স্বীকার করেন। পরে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাছে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যা ও জবাব চাওয়া হয়। সেই ব্যাখ্যা আইনসঙ্গত না হাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

এছাড়াও লালমনিরহাট সদর উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এসএম আজম শাহীর বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ ছাড়া অনিয়ম করে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। ওইদিন মো. মমতাজ উদ্দিন, মোছা. জাহানারা বেগম ও মো. সাজ্জাদ হোসেন নামে তিনজন ব্যক্তি অফিসে উপস্থিত না হয়েই ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদন করেন। এছাড়া তাদের আবেদন ফর্মে কোনো কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছিল না।  

পাশাপাশি ১৩ নম্বর ফর্মের প্রথম পৃষ্ঠা স্ক্যান করা হলেও দ্বিতীয় পৃষ্ঠার পরিবর্তে পুনরায় প্রথম পৃষ্ঠা আপলোড করা হয়েছে। যা নিয়মবহির্ভূত বলে এনআইডি উইংয়ের কাছে প্রতীয়মান হয়। উপরোক্ত বিষয়ে ব্যাখা চাওয়া হলেও সেই ব্যাখ্যা আইনসঙ্গত না হাওয়ায় এসএম আজম শাহীর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।