ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাজশাহীর ৩টিতে আ’লীগ, ১টিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
রাজশাহীর ৩টিতে আ’লীগ, ১টিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়

রাজশাহী: চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত রাজশাহীর চারটি পৌরসভা নির্বাচনে তিনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। আর অন্যটিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, পবার নওহাটা এবং বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

পরে ভোটগণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নওহাটা ছাড়া অন্য তিন পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওহাটায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, তাহেরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ ১০ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এখানে বিএনপির প্রার্থী আবু নঈম মো. সামসুর রহমান মিন্টু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯০৩ ভোট। আবুল কালাম আজাদ টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন। তার স্ত্রী খন্দকার শায়লা পারভীনও এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন।

রাজশাহীর তানোর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইমরুল হক ১২ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর ধানের শীষের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ৭ হাজার ২১৭ ভোট।

বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মালেক মণ্ডল নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪৫ ভোট। মিজানুর রহমান মিজান পৌরসভার বর্তমান মেয়র। প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পর এবারই প্রথম তানোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা মেয়র হলেন।

আর রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাসের ভরাডুবি ঘটেছে। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মনিরুল ইসলাম বাবু। তিনি পৌরসভার বর্তমান মেয়রও। দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। আর এতেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হয়ে গেলেন তিনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, মনিরুল ইসলাম বাবু ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ৮১৫টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রুলু তার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৯৩ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪ ভোট। ভোটে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াত নেতা ড. ওবায়দুল্লাহ জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৪ ভোট।

এছাড়া নানা নাটকীয়তার পর রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রামানিক রাতে এই ফল ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, পৌর যুবলীগের সভাপতি হাফিজ তার নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৫১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল বারী খান তার নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৮৬ ভোট।

আর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোকবুল হোসেন তার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৭৯ ভোট। ৬৬৫ ভোটে হাফিজের কাছে পরাজিত হওয়া আবদুল বারী খান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি।

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে প্রথমবারের মতো মেয়র হলেন হাফিজুর রহমান হাফিজ।

এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়। রাজশাহীর চারটি পৌরসভার মধ্যে শুধু গোদাগাড়ীতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। অন্য তিনটিতে ভোটগ্রহণ করা হয় ব্যালটে।

বাংলাদেশ সময়: ০১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
এসএস/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।