ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পৌর নির্বাচনকে ঘিরে দিন-রাত ঘুরছে প্রেসের চাকা

কাওছার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
পৌর নির্বাচনকে ঘিরে দিন-রাত ঘুরছে প্রেসের চাকা প্রেসে মেশিনম্যানরা ব্যস্ত। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: চলতি মাসের ২৮ তারিখে বগুড়ায় পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শাপলা মার্কেট, শহরের প্রেসপট্রি গিয়ে দেখা গেছে, প্রেসে প্রেসে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। কেউ রঙের কৌটা নিয়ে ব্যস্ত। কেউবা প্রেসের নির্ধারিত স্থানে ব্রাশ দিয়ে রঙ ভরায় ব্যস্ত। আবার মেশিনম্যান ব্যস্ত পোস্টার ছাপানো নিয়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পোস্টার চূড়ান্তভাবে ছাপানোর আগে কয়েক দফা যাচাই করে নেওয়া হয়। দেখে নেওয়া হয় রঙের প্রকৃতি ঠিকঠাক আছে কি-না। পোস্টারের লেখা ও প্রার্থীর ছবিসহ করা ডিজাইন অনুযায়ী পোস্টার বের হচ্ছে কি-না, তাও পরখ করে নেওয়া হয়। পরখ করে নেওয়ার সময়টাতে মেশিন চালানো হয় ধীর গতিতে। যাচাই প্রক্রিয়া শেষ হলে মেশিনের গতি পুরো মাত্রায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। খট খট শব্দ তুলে চলতে থাকে মেশিন। বের হয়ে আসে একেকটি পোস্টার। এই পোস্টারগুলোই হাসে প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকার অলিতে-গলিতে, পথে-ঘাটে। বগুড়া পৌর নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই শুরু হওয়ার এসব পোস্টার ও লিফলেট ছাপানোর কাজে এখন যেন নির্ঘুম রাত কাটছে প্রেসগুলোর কর্মীদের। মালিক-কর্মচারীদের নেই দম ফেলার ফুরসত। দিন-রাত প্রেসের চাকা যেন ঘুরেই চলছে।

বগুড়া শহরের শাপলা মার্কেটে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১০০টির মত প্রেস রয়েছে। এ কারণে মার্কেটটি সবার কাছে পরিচিত। এছাড়া শহরের বাদুরতলা এলাকায়ও বেশ কিছু সংখ্যক প্রেস রয়েছে। এসব প্রেসে এখন দিন-রাত বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার ছাপানোর কাজ চলছে। প্রেসের মালিক বা কর্মচারীদের এখন কথা বলার সময় নেই। সর্বক্ষণই কাজে ব্যস্ত। সময় মতো খাবারও খেতে পারছেন না। কারণ সঠিক সময়ে কাস্টমারকে পোস্টার বা লিফলেট ডেলিভারি দেওয়াটাই এখন সবার একমাত্র কাজ। রংধনু অপসেট প্রেসের স্বত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে এখানকার প্রায় প্রত্যেকটি প্রেসে মেশিনম্যান ব্যস্ত ছাপা মেশিন নিয়ে। রঙের কাজ করছেন কেউ কেউ। ধোয়া-মোছার কাজ করছে অন্যরা। কেউবা কম্পিউটারে পোস্টারে ডিজাইন করছেন। আবার কেউ প্লেট করা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। এছাড়া পেপার কাটিং, ছাপার পর পোস্টার বাধানোসহ নানা ধরনের কাজও চলছে প্রেসপট্টিতে (শাপলা মার্কেট)। এখানকার প্রেস মেশিনগুলো ভালো। কাজের মানও অনেক ভালো। ছাপা ভালো হওয়ায় পোস্টারগুলো দেখতে অনেক ভালো দেখা যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইউসুফ শেখ সাগর নামের আরেক প্রেস মালিক বাংলানিউজকে বলেন, এখন আগের চেয়ে কাগজ, রঙসহ আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। এ কারণে ছাপার খরচও বেড়ে গেছে। কিন্তু লাভ তুলনামূলক কমে গেছে। তবে, কাজের চাহিদা থাকায় সামান্য লাভেই পোস্টার বা লিফলেট তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।