ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম হলো চুরির বাক্স, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে তৈমুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
ইভিএম হলো চুরির বাক্স, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে তৈমুর মনোনয়নপত্র নিচ্ছেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) তিনি জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

তবে, তিনি দলের প্রতীক ধানের শীষে নয় স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ুর রহমান জানান, তৈমুর আলম খন্দকার মনোনয়নপত্র কিনেছেন।  

এর আগে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) তিনি এসে নির্বাচনের বিস্তারিত জেনে গিয়েছিলেন।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, জাতির এই অসময়ে আমি কর্তব্য ও দায়িত্ববোধ থেকে নির্বাচনে এসেছি। একে এম সামসুজ্জোহা, জালালউদ্দিন, আলী আহমেদ চুনকা, একে এম নাসিম ওসমান, নাজিম উদ্দিন, কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম তারা আজ নেই। আর তাই আমি মনে করি এই নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আজ আমাকে প্রয়োজন। আজ উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তাই আমাকে এখন এখানে প্রয়োজন। জাতীয় রাজনীতি ও নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি ভিন্ন। এই শহরের মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দরকার, নাগরিক সুবিধা দেওয়া নাসিকের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, আমি বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন কোন ভাড়া বাড়াতে দেইনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন কোন বেতন বাড়াতে দেইনি। অনুরূপভাবে নাসিক আজ ট্যাক্স বাড়িয়ে নগরবাসীকে বিপদে ফেলেছে, আমি এলে কোন ট্যাক্স বাড়তে দেবো না। জীবনের বিনিময়ে হলেও নগরবাসীর চাহিদা পূরণ করবো। নারায়ণগঞ্জে এমপি আছেন মন্ত্রী আছেন, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের আচরণ-বিধি ভাঙবেন না।

তিনি আরও বলেন, ইভিএম হলো চুরির বাক্স, ভোট ইভিএমে চুরি করবেন না। জনগণ যে রায় দেয় মেনে নেবো। জনগণকে যদি রায় না দেয় তাহলে আমি মানবো। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জেল খেটেছি, গুলি জেলের ভয় পাই না। যদি কারচুপি হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ হবে মাগুরা হুঁশিয়ারি দিলাম।

এর আগে রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এর আগে ৫ ডিসেম্বর মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দুই বিএনপি নেতা। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে ভোটের মাত্র সাত ঘণ্টা আগে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার মেয়র পদ থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন।
 
১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচারণা শুরু ২৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।