ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

আলীকদমের ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১২৭ জনের নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
আলীকদমের ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১২৭ জনের নামে মামলা

বান্দরবান: ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ১২৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে ১ নম্বর আলীকদম সদর ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আনোয়ার জিহাদ।  

বৃহস্পতিবার (১২ মে) বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 
 
মামলার অভিযুক্তরা হলেন, ১ নং আলীকদম সদর ইউনিয়নের বর্তমান  চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন,  উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার আতিকুল ইসলাম চৌধুরী, ৭ নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার মো. জসীম উদ্দীন, ৭ নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ওবাইদুল হাকিম, ৭ নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আশিকুল ইসলাম, ৭ নং ওয়ার্ডের পোলিং অফিসার হুমাইরা জান্নাতলিমা, ৭ নং ওয়ার্ডের পোলিং অফিসার সামহ্রী মারমা, ৭ নং ওয়ার্ডের পোলিং অফিসার মো. আবু জাফর, ৮ নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার হুমায়ুন কবির, ৮ নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিংঅফিসার আক্তার উদ্দিন, ৯ নংওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার রামেল পাল, ৯ নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ হোছেন, ৫ নং ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসার গিয়াস উদ্দীন, ৫ নং ওয়ার্ডের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার চানু মারমাসহ আলীকদমের ১ নং সদর ইউনিয়নে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনের সময় দায়িত্বরত ১২৭ জনপ্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার।

জানা যায়, গত ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর বান্দরবানের আলীকদমের চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগকারী নির্বাচনে ১ নং আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেন।

নির্বাচনের দিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলেও বিবাদীরা ভোট গণনার সময় প্রচুর কারচুপি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনী এলাকার দুর্গম ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডেও অধিক ভোট কাস্টিং দেখিয়ে প্রতিপক্ষের বেশি ভোট দেখান। এসময় বাদীর নিযুক্ত এজেন্টদের কাছ থেকে ফরম-ঞ তে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে কোনো কেন্দ্র্রে রেজাল্ট শিট সরবরাহ না করে ৮ নং ওয়ার্ডে ৮৯.৮৮ % ও ৯ নং ওয়ার্ডে  ৯৯.১৯% ভোট কাস্টিং দেখায়।  

এনিয়ে বিভিন্ন দফতরে অনিয়মের প্রমাণ দিয়ে ভোট পুনঃ গণনার দাবি ও দোষীদের বিচারের                               দাবি জানিয়েও কোনো সুরাহা না পাওয়ায় নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ করেন মো. আনোয়ার জিহাদ।

এ বিষয়ে মো. আনোয়ার জিহাদ জানান, ২০২১সালের ২৮ শে নভেম্বর বান্দরবানের আলীকদমে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রমাণ সাপেক্ষে  নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছিলাম। নির্বাচন কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে গেজেট স্থগিত করে এবং ৪টি ইউপির মধ্য ৩টিতে গেজেট প্রকাশ হলেও আলীকদম সদর ইউপির গেজেট প্রকাশ করেনি, এরপর নিবার্চন কমিশনের পক্ষে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। তদন্ত টিম আমার অভিযোগগুলোর প্রমাণও পায়। তারপর ও তদন্ত প্রতিবেদন কেন যে আমার পক্ষে আসেনি, তা আমি পরিষ্কার না। তারপরও কি অদৃশ্য করণে নাছির উদ্দিনের নামে কাকতালীয়ভাবে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। যেহেতু আমি নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো প্রতিকার পাইনি, সেহেতু আমি ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় ট্রাইব্যুনালের শরণাপন্ন হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছি।

এদিকে বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচনের জয় বা পরাজয় নিয়ে পরাজিত প্রার্থী গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।