ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আমরা ছাড়ব না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২২
‘আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আমরা ছাড়ব না’

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আমরা ছাড়ব না। কোনো রকম পিছপা হব না, বরদাশত করব না।

নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে রোববার (০৫ জুন) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গ করার প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এই জেলা জজ বলেন, ঝিনাইদহ পৌর নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করায় এক মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছি। কিন্তু চাম্বল ইউপিতে সেটা করা হয়নি। কারণ সিটি ও পৌর নির্বাচনের আইনে প্রার্থিতা বাতিলের এখতিয়ার দেওয়া আছে। কিন্তু ইউপিতে আচরণবিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা বাতিলের কোনো এখতিয়ার দেওয়া হয়নি। যার কারণে আমরা ওই প্রার্থীর (মুজিবুল হক চৌধুরী) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। সিটি কিংবা পৌর নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী তার বিরুদ্ধে রায় হলে তখন শাস্তি হলে প্রার্থী হতে পারবে না। আবার যখন নির্বাচন হবে, তখন যে অবস্থা থাকবে সেভাবে সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যতদিন এই কঠোর অবস্থান রাখা দরকার ততদিনই রাখবো। ভোট দেওয়ার পরিবেশ যেটা নষ্ট হয়ে গেছে বলা হচ্ছে। আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ নির্বাচন করতে চাই। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতীয় নির্বাচনেও যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে, সেটাই আমরা চাই। আচরণবিধি ভঙ্গ করলে আমরা ছাড়ব না। কোনো রকম পিছপা হব না, বরদাশত করব না।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে রাশেদা সুলতানা বলেন, ইভিএম একটি যন্ত্র। কী ত্রুটি আছে, আমরা তো ইলেকশন করি নাই। পেপার-পত্রিকায় দেখেছি। কুমিল্লা সিটি নির্বাচন হলে বাস্তব অভিজ্ঞতা হবে। একটা যন্ত্র যখন, যে কোনো সময় নষ্ট হতে পারে। আমার অপপো ফোন, ত্রুটির কারণে অসুবিধা হচ্ছে। কাজেই যদি আক্রান্ত হয়, আমরা এখনো পরীক্ষার উপরেই আছি। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, রিকশাওয়ালার কথাও আমরা আমলে নিচ্ছি। প্রতিটা পত্রিকায় বলছে। এজন্যই আমরা নিশ্চিত হতে চাচ্ছি। এজন্যই বিশেষজ্ঞদের এনে দেখালাম। আমরা খতিয়ে দেখতে চাই যে, বাজারে যে কথা আছে, তা কি রিউমার? নাকি আসলেই আছে।

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমরা যদি মোবাইল টিপতে পারি, তাহলে ওটাও সম্ভব। ওখানেই ইনস্ট্রাকশন দেওয়া হয়, এটার পর এটা করুন। যদি ইভিএম নিয়ে নিশ্চিত হই ব্যবহার করবো, অবশ্যই জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ আমরা তৈরি করব।

আঙুলের ছাপ না মেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আঙুলের ছাপ না মিললে প্রিজাডিং অফিসার তার আঙুল ব্যবহার করবেন। এটা আমরা মনিটরিং করব। তাই এখানে কারচুপি করার সুযোগ নেই। কেউ কেউ ছিদ্রান্বেষণ করতে পছন্দ করে। কেউ কেউ না বুঝেই এমন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।