ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তিন মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে চায় বাংলাদেশ কংগ্রেস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২২
তিন মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে চায় বাংলাদেশ কংগ্রেস

ঢাকা: সংসদ নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে আনার দাবি তুলেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।

রোববার (১৭ জুলাই) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে দলটি এ দাবি জানায়।

সংলাপের বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংলাপে অংশ নিয়েছেন।

দলের চেয়ারম্যান কাজী রেজাউল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা আজও গড়ে ওঠেনি। ফলে দেশের প্রতিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্যে। এই সংলাপের মাধ্যমে আশা করা যায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি হবে।

সংবিধানে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক বাস্তবতার নিরিখে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়ন করতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।

ভোটার তালিকা প্রণয়ন, সংশোধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান সংক্রান্ত যাবতীয় কার্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্পন্ন করা এবং ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সরবরাহকৃত তথ্য অনুসারে জাতীয় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।

এছাড়াও সবপ্রকার নির্বাচনকে নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত করতে এবং পরিচালনার দায়িত্ব এককভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দলের প্রস্তাবিত নয় দফায় আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিন নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ ছুটি ঘোষণা করতে হবে এবং সবপ্রকার অফিস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। ভোট চলাকালিন সময়ে দলীয় ক্যাম্প স্থাপন পরিচালনা, ভোটারবাহী পরিবহন ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর ব্যপারে বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইভিএম-এর অবস্থান ও পরিচালনায় গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে এবং ভোট দেওয়ার পর প্রতীকসহ মুদ্রিত টোকেন দেওয়া পদ্ধতি চালু করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ভোটার উক্ত টোকেনের কপি নির্ধারিত বাক্সে ফেলবেন যা সংরক্ষণ করতে হবে এবং মেশিনে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। তবে বাংলাদেশ কংগ্রেস ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণকে নিরুৎসাহিত করেছে এবং ব্যালট পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস পূর্বে নির্বাচন কমিশন উক্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে এবং তফসিল ঘোষণার পর হতে যাতে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রীপরিষদ কার্যকর না থাকে সে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।

দলটি বলেছে, নির্বাচনকালিন সরকারের স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়া দরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২২
ইইউডি/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।