ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে: ত্রিশালের ৬ নং ওয়ার্ডের নওধার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের মাত্র ২শ’ গজের মধ্যেই পতিত ক্ষেত। সেখানে নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা।
কেউ বিক্রি করছেন সেদ্ধ ডিম, পিঠা, কেউ বুট, বিস্কুট। বসেছে শিশুদের খেলনাপাতির দোকানও। দোকানগুলোর আশপাশে খাবার খেতে খেতে মাটিতে বসেই ভোটের আলাপ করছেন অনেকে। আর দোকানিরাও জানালেন, ভোট উৎসবের দিনে তাদের বেচা-বিক্রিও বেশ।
সেদ্ধ ডিম, ভাপা পিঠা আর চিতই পিঠার দোকান দিয়েছেন আলম। বয়স চল্লিশের কোঠায়। তাকে সহায়তা করতে আছেন আরো দু’জন। ক্রেতা সামলাতে ব্যস্ত এ দোকানি প্রথমে কথা বলতে চাইলেন না। পাশের একজন যখন কথা বলতে শুরু করলেন তখনই মুখ খুললেন, ‘এইহানও কোন গন্ডগোল নাই। ভালাই ভোট হইতাছে। বেচা-বিক্রিও খারাপ না। ’
ভোর ৬টার দিকে এ ভোটকেন্দ্রের পাশেই চূলা গেড়েছেন আলম। বললেন, ‘আনন্দেই সবাই ভোট দিবার আইতাছে। আমি অহনও ভোট দিবার সময় পাই নাই। আরেকটু বেলা অইলে দাড়ির আওলিত গিয়া ভোট দিয়া আসমু। ’
আলমের এ ভ্রাম্যমাণ দোকানের খানিক দূরে খড়ের উপর বসে বুট খেতে দেখা গেলো সেলিনা খাতুন ও বেদেনা নামে দু’নারী ভোটারকে। সন্তানের বায়না মেটাতেই বুট খাচ্ছেন। দু’জনেই তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বেদেনা বলেন, ‘পছন্দের যোগ্য প্রার্থীরেই ভোট দিছি। অহন পোলারে লইয়া খাইতাছি। ’
সুলায়মান বিক্রি করছেন চিপস আর পান-সিগারেট। বিক্রি কেমন জানতে চাইলে বলেন, ‘সহালে সবাই ভোডের চিন্তা করছে। অহন দোহানে আইসা পান চাবাইতাছে। আর ঘুরাঘুরি করতাছে। গেরামে ভোটের আনন্দে কমতি নাই। ’
শিশুদের খেলনাপাতির দোকান নিয়ে হাসিখুশি মেজাজেই আছেন সিদ্দিকুর রহমান। ত্রিশোর্ধ্ব এ যুবকের দোকানে রয়েছে প্ল্যাস্টিকের ফুটবল, বেলুন, বাঁশিসহ আরো কত কিছু। ‘বাচ্চারা দরদাম করতাছে। বেচা-বিক্রিও চলতাছে। দুপুরের পর বিক্রি বাড়বো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
জেডএম/