সিংড়া, নাটোর থেকে: সিংড়া চলনবিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের মাঠে এক বৃদ্ধা ভোটারের সঙ্গে কথা বলছিলেন বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্ট। প্রিজাইডিং অফিসার এসে প্রশ্ন করলেন, আমার অনুমতি না নিয়ে ঢুকলেন কেন? করেসপন্ডেন্ট ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জানতে চাইলেন, কেন্দ্রে না ঢুকলে গেটের বাইরে থেকে অনুমতি চাইবো কিভাবে!
এবার শান্ত হলেন প্রিজাইডিং অফিসার।
প্রিজাইডিং অফিসারদের এ ধরনের অসহযোগিতামূলক আচরণের অভিযোগ আরো রয়েছে।
সকাল থেকে অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল জোড়মল্লিকা নিংগাই দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে। বিএনপি প্রার্থী শামীম আল রাজীর পোলিং এজেন্টকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না বুথে। এছাড়াও সরকারদলীয় কর্মীরাও সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছিলেন।
এ কেন্দ্রে বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্টকে দেখে প্রিজাইডিং অফিসার ফারুক হোসাইন জিজ্ঞাসা করেন, আপনি সাংবাদিক? আপনার এখানে কাজ কি?
রিপোর্ট কাভার করতে এসেছি জবাবে ফারুক কড়া ভাষায় বলেন, এক কেন্দ্রে কোনো বুথে একবারের বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না। আর প্রবেশ করার সময় অবশ্যই আমার অনুমতি নিয়ে ঢুকবেন।
বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্ট জানতে চান, আপনি তো কেন্দ্রে ব্যস্ত। খুঁজবো কতক্ষণ ধরে? প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, যখন পাবেন তখন ঢুকবেন।
এই কেন্দ্রে ডেমোক্রেসি ওয়াচের নির্বাচন পর্যবেক্ষক আরমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এখানকার প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই সকাল থেকে আমাকে কোনো বুথে প্রবেশ করতে দেননি। কেন্দ্রে কিছু সমস্যা ছিল। বেলা ১১টার দিকে রিটার্নিং অফিসার এবং দুই প্রার্থী এসে কেন্দ্রের পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে প্রিজাইডিং অফিসার আমাকে বলেছেন, একবারের বেশি কোনো বুথে প্রবেশ করা যাবে না। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা যাবে না।
এর আগে, সকালে নাটোর সদরে শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বাংলানিউজের ফটো করসপন্ডেন্ট ছবি তুলতে গেলে প্রিজাইডিং অফিসার তেড়ে এসে জানতে চান, আমার অনুমতি না নিয়ে ঢুকলেন কেন?
তবে নাটোর পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার কাজী আতিয়ুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সবখানেই স্বাভাবিকভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা রয়েছেন। তারা দেখছেন সব কিছু।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএন/এমজেড