‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’র মতো কালজয়ী অনেক সিনেমার নির্মাতা আমজাদ হোসেন চলে যাওয়ার চার বছর পূর্ণ হলো বুধবার (১৪ ডিসেম্বর)।
২০১৮ সালের এই দিন ৭৬ বছর বয়সে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশবরেণ্য এই চলচ্চিত্রকার।
১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে জন্ম আমজাদ হোসেনের। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক ছিলেন।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য আমজাদ হোসেন শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।
আমজাদ হোসেনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করে জামালপুরে এক শোকর্যালির আয়োজন করা হয়। আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র, জামালপুরের উদীচী, খেলাঘরসহ মোট ৭৪টি সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোকর্যালি সকাল ১০টায় জামালপুর বকুলতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে আমজাদ হোসেনকে কবর দেওয়া পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে আমজাদ হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষ। দিনব্যাপী কোরানখানি, বাদ আসর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এ ছাড়াও এদিন আমজাদ হোসেনের সারা জীবনের কর্মস্থল এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে আমজাদ হোসেন স্মরণ সভা, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ বরেণ্য চলচ্চিত্রকার স্মরণে শোক র্যালিতে নেতৃত্ব দেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে প্রযোজক, নির্মাতা ও অভিনেতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।
জামালপুর ছাড়াও এদিন রাজধানীর শ্যামলীতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমিতে আমজাদ হোসেন স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
এনএটি