বৃন্দাবন দাস, একজন বরেণ্য নাট্যকার। নাটক লেখার পাশাপাশি কালেভাদ্রে অভিনয়ে দেখা যায় চিত্রনাট্যকার বৃন্দাবন দাসকে।
অনুরোধের ঢেঁকি গিলতেই তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, অভিনয় করেন। সে হিসেবে তাকে বলা যায় শৌখিন অভিনেতা। একাধিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছ থেকে এখনো প্রশংসা পেয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বৃন্দাবন দাসের লেখা গ্রামীণ গল্পের নাটক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শহুরে গল্পের ডামাডোলে। ‘ঘর-কুটুম’, ‘আলতা সুন্দরী’, ‘জামাই মেলা’, ‘হাড়কিপটে’, ‘মোহর শেখ’, ‘সাকিন সারিসুরি’, ‘চৈতা পাগল’, ‘পাত্রী চাই’, ‘পত্র মিতালী’, ‘সার্ভিস হোল্ডার’ নাটকগুলোর সঙ্গে টিভি দর্শকেরা কমবেশি পরিচিত।
সময়ের পরিক্রমায় ইউটিউব ভিউ’র পিছনে ছুটতে গিয়ে নাটকে বাড়ছে অশ্লীলতা। অশ্লীল সংলাপ, পোশাক ও বিভিন্ন ধরনের সুড়সুড়ি দৃশ্য দিয়ে দর্শক আকৃষ্ট করার প্রতিযোগিতা চলছে। এগুলো এখন যেন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে! তবে বৃন্দাবন দাসের নাটকে অশ্লীলতার ছিটেফোঁটাও লাগেনি।
তার ভাষ্য, আমি নাটক লিখি, কমিটমেন্ট থেকে। যেখানে দেশ এবং পরিবার গুরুত্বপূর্ণ! আমার নাটকে আমি এমন একটি শব্দও ব্যবহার করি না, যে শব্দ পরিবার নিয়ে নাটক দেখতে বসে লজ্জা পেতে হয়!
কথা গুলো বৃন্দাবন দাসের উদ্ধৃতি দিয়ে সামাজিকমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। সঙ্গে বৃন্দাবন দাসের একটি ছবিও শেয়ার করেন এই অভিনেত্রী।
পাবনার চাটমোহরের সন্তান বৃন্দাবন দাস, সেখানেই কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।
ব্যক্তিজীবনে অভিনেত্রী শাহনাজ খুশির সঙ্গে তার সুখের সংসার। তাদের ঘর আলো করে রেখেছে দুই পুত্র সন্তান দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
এনএটি